ভাঙড়ে ফের ‘ঐক্যবদ্ধ’ তৃণমূল,একসঙ্গে মিছিলে হাঁটলেন আরাবুল-শওকত-কাইজাররা ,পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভাঙড়ে (Bhangar) প্রথম মিছিল শওকতের মোল্লার (Saokat Mollah)। হাতে হাত ধরে হাঁটলেন শওকত-আরাবুল-কাইজাররা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে দলের ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরতেই ভাঙড়ে এদিন এই বড় মিছিলের ডাক তৃণমূলের (Trinamool Congress), মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এদিকে ভোটের সলতে পাকানো শুরু হতেই বিগত কয়েক মাসে রাজ্য নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সামনে এসেছে। অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল নেতাদের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হয়েছে ভাঙড়ও। বিশ্লেষকদের মতে, আরাবুল-কাইজার কাজিয়ার ‘সুফল’ যাতে সিদ্দিকী শিবিরের হাতে না চলে যায় তা রুখতে তৎপর শাসকদল। এরইমধ্যে ভাঙড়ে তৃণমূলের মিছিল এখন জেলার রাজনৈতিক মহলের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সাম্প্রতিককালে আরাবুল ইসলাম ও কাইজার এই দুই নেতারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও তাঁদেরকে ঘিরে থাকা একাধিক উপগোষ্ঠী উদ্বেগ বাড়িয়েছে তৃণমূলের। দ্বন্দ্ব সরিয়ে সমঝোতা বাড়াতে সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য-সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতে বৈঠকে বসেন আরাবুল, কাইজাররা, শওকতরা। সেখানেই শওকতকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক করা হবে বলে ঠিক হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর ভাঙড়ের সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী শাসকদল। সে কারণেই দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরতে মরিয়া ভাঙড়ের ঘাসফুল শিবিরের নেতারাও। এদিন মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই একসঙ্গে চলার বার্তা কাইজার আহমেদের গলাতেও। তাঁর সাফ কথা, “কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দল ঐক্য়বদ্ধ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্যও তৈরি হয়েছে। আইএসএফ, বিজেপি কেউই আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”
আরও পড়ুন – শিক্ষায় বাধা ! স্ত্রীর অ্যাডমিট কার্ড লুকোলেন স্বামী, সিনেমার কায়দায় তরুণী পৌঁছলেন…
মিছিল থেকে শওকতের স্পষ্ট কথা, “ভাঙড়ের মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে সেটা আজকের এই মিছিলই প্রমাণ করে দিল।” একই সুর আরাবুল ইসলামের গলাতেও। শওকতের পাশে হাঁটতে হাঁটতেই তিনি বলেন, “আইএসএফকে ভাঙড়ের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। ওদের জুলুমবাজি, গুন্ডামি, পার্টি অফিস ভাঙচুর, পুলিশের উপর লাঠি চালানো, সাধারণ মানুষ ভালভাবে নিতে পারেনি। আমি নওশাদ সিদ্দিকীকে বলব আজকে ভাঙড়ে তৃণমূলের এই বিশাল মিছিল এসে দেখে যেতে। আজকের এই বিশাল মিছিল থেকেই প্রমাণিত হয় মানুষ আইএসএফকে বলছে তোমরা দূর হটো।”