প্রিয় বন্ধু সতীশ কৌশিকের স্মরণসভায় মুখ খুললেন অনুপম খের , ৯ মার্চ প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের নামজাদা অভিনেতা ও পরিচালক সতীশ কৌশিক। ৮ মার্চ দিল্লিতে এক বন্ধুর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সেখানে থাকাকালীনই শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি। হাসপাতালে যাওয়ার পথে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতার। সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর খবর প্রথম সমাজমাধ্যমে জানান তাঁর প্রিয় বন্ধু, বলিউড অভিনেতা অনুপম খের। দুই বন্ধুর ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে ছেদ। প্রিয় বন্ধুর অন্তিমযাত্রাতেও ছিলেন অনুপম। বন্ধুর নিথর দেহের পাশে বসে বাধ মানেনি চোখের জল। সতীশের জন্য মুম্বইয়ে এক স্মরণসভার আয়োজনও করেছিলেন অনুপম। সেই স্মরণসভার পরে সতীশ-মৃত্যু বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা।
অনুপমের আয়োজিত স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সতীশ কৌশিকের স্ত্রী শশী কৌশিক, মেয়ে বংশিকা কৌশিক। ছিলেন জাভেদ আখতার, বিদ্যা বালন, বিবেক অগ্নিহোত্রী, বনি কপূর, জ্যাকি শ্রফ, পঙ্কজ কপূর, সুপ্রিয়া পাঠকের মতো ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখেরা। স্মরণসভা শেষে নিজের প্রিয় বন্ধুর উদ্দেশে অনুপম লেখেন, ‘‘যা, তোকে ক্ষমা করলাম আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। আমার চারপাশে লোকজনের হাসির আওয়াজে আমি তোকে খুঁজে পাব। কিন্তু, আমাদের বন্ধুত্বটা আমি ভীষণ মিস্ করব।’’ সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অনুপম। সেই ভিডিয়োর আবহেও ছিল সতীশের প্রিয় গানের সুর। ৪৫ বছরের বন্ধুত্বের অবসান হয়েছে। তবে, প্রিয় বন্ধুকে যে প্রতি মুহূর্তে মিস্ করছেন অনুপম, তা স্পষ্ট সেই পোস্টেই।
সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর দিন কয়েকের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন দিল্লির এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। কুবের গ্রুপের শীর্ষকর্তা বিকাশ মালুর স্ত্রী সানভি মালু অভিযোগ করেন, সতীশকে নাকি বিষ দিয়ে খুন করেছেন তাঁর স্বামীই। সেই বিষক্রিয়ার জেরেই নাকি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার, দাবি করেন সানভি। দিল্লিতে বিকাশ মালুর হোলির পার্টিতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সতীশ। সানভি দাবি করেন, বিকাশ মালুকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরেই নাকি সতীশকে বিষ দিয়েছিলেন বিকাশ। সানভির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু দিল্লি পুলিশ। ২০ মার্চ সতীশ কৌশিকের স্মরণসভা শেষে এই বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় অনুপম খেরকে। অনুপম জানান, তাঁর প্রয়াত বন্ধুকে নিয়ে অকারণে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – সলমনকে খুনের হুমকি, নতুন ফরমান জারি করল মুম্বই পুলিশ
তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে সতীশের এমন কোনও ছবি নেই যাতে ওঁর মুখে হাসি নেই। সতীশ চিরকাল সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করেছেন। যাওয়ার সময়েও ওঁকে সেই সম্মানের সঙ্গে যেতে দেওয়া উচিত।’’ অনুপমের অনুরোধ, ওঁর প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে যেন আর কোনও বিতর্ক তৈরি করা না হয়।