শেষমেশ তিহাড়েই ঠিকানা কেষ্টর ! জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির আদালত, আপাতত তিহাড়ই ঠিকানা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। পাশাপাশি, অনুব্রতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি ৩ এপ্রিল। সে দিন আদালতে হাজির করানো হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে। দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ৩ এপ্রিল, পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে হাজির করানো হবে তৃণমূল নেতাকে।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) প্রথমে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি আসানসোল জেলের মধ্যে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে। পরে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছিল, যাতে ইডি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে এবং রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই অনুব্রত দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন। ইডি তাঁকে গ্রেফতারের পরে কারণ জানিয়ে কোনও নথি দেয়নি বলে অভিযোগ করে মামলা করা হয়। এই সব ক’টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লি হাই কোর্ট ইডি-র বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুব্রতের (Anubrata Mondal)আবেদনের ভিত্তিতে মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাই কোর্টে। কিন্তু ওই দিন শুনানি হয়নি। এক মাস পিছিয়ে গিয়ে ১৭ মার্চ শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। সেই শুনানিও পিছিয়ে যায়। মঙ্গলবারের জেল হেফাজতের নির্দেশের ফলে অনুব্রতের নতুন ঠিকানা তিহাড় জেল
আরও পড়ুন – পুরী থেকে ফিরে বীরভূম জেলার সঙ্গে বৈঠকে মমতা ,অনুব্রতহীন বীরভূমে সংগঠনের রাশ নিজের..
তিহাড় জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গত বছর ৯ জুন গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয় আদালতে। আদালতের অনুমতিতে গত ২২ অক্টোবর দিল্লি নিয়ে গিয়ে ইডি সহগলকে দু’দফায় হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে। পরে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতের নির্দেশে তিহাড় জেলে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই থেকে তিনি তিহাড়েই। এ বার সেখআনে গেলেন অনুব্রতও।
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )