ভাঁড়ের মণ্ডপ বানিয়ে তাকলাগানো বন্দন রাহার রহস্যমৃত্যু, ঝুলন্ত দেহ মিলল প্রথম থিমশিল্পীর , বাগুইআটি থেকে উদ্ধার কলকাতার প্রথম থিম শিল্পী বন্দন রাহার ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার নিজের দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় শিল্পীর নিথর দেহ। গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির জগৎপুরের আদর্শপল্লিতে। ঘটনার তদন্তে বাগুইহাটি থানার পুলিশ। ২০০১ সালে কলকাতার কসবায় একটি সর্বজনীন পুজোয় থিমের প্যান্ডেল করে সমস্ত আকর্ষণ টেনে নিয়েছিলেন বন্দন। এ হেন শিল্পীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।
পুলিশ সূত্রে খবর, থিম শিল্পী বন্দন রাহার কয়েকবছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিবাহ বিচ্ছেদের অবসাদ এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হয়তো তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন – ‘সবাই জানে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল’, বগটুইয়ে তোপ শুভেন্দুর
পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইহাটি আদর্শপল্লিতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন থিম শিল্পী বন্দন রাহার দাদা। কিছুদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বন্দনবাবু দাদার বাড়িতে থাকতে আসেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। দাদা সেই সময় সপরিবার বাইরে ছিলেন। দাদা বাড়ি ফিরে দেখেন, ভাইয়ের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ। ভাইকে ডাকলে কোনও উত্তর মিলছিল না। শেষমেশ বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফ্যান থেকে ঝুলছে শিল্পী বন্দনের দেহ। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।ন দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে।
কসবার দিকে নামকরা পুজো বললে হাতেগোনা কয়েকটা নামই মনে পড়ে। তার মধ্যে অবশ্যই বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজো অন্যতম। ২০০১ সালে ভাঁড়ের প্যান্ডেল করে প্রথম লাইমলাইটে আসে এই পুজো। সে বার কলকাতায় হইহই ফেলে দিয়েছিল এই পুজো। সেই থিম পূর্ণতা পেয়েছিল শিল্পী বন্দনের হাত ধরেই। জেলার মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল কলকাতার কসবায়। পুজোর দিনগুলোয় পুরো ভিড়টাই শুষে নিয়েছিল বোসপুকুর শীতলামন্দির। রাস্তার ওপরই পুজো। ফলে বন্ধ হতে বসেছিল গড়িয়াহাট থেকে রুবিগামী রাস্তায় যান চলাচল। আর গোটাটাই সম্ভব হয়েছিল বন্দনের হাতযশে।
(সব খবর , ঠিক খবর ,প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )