সুজনের স্ত্রীর নিয়োগ কি বৈধ?আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব তদন্ত হবে কি না বললেন ব্রাত্য বসু , পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষের পর পূর্বতন বাম সরকারকে একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাদের দিকে আঙুল তুললেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। জানালেন, সুজনের স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল পর্যন্ত কেউ জানত না। এই চাকরি নিয়ে তদন্ত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাত্য।
সুজনের স্ত্রীর চাকরি নিয়ে তদন্ত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাত্য। যদিও জানিয়েছেন, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্ত করতে হবে কি না, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করব। কারণ মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন, আমার কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছ কেন, তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’ গত ১২-১৩ বছর ধরে কেন এই নিয়ে মুখ খোলেনি বর্তমান সরকার, সেই কারণও জানিয়েছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘উনি অবসর নিয়েছেন ২০২১ সালে। এই সরকারের বেতন এবং পেনশন নিচ্ছেন। ১২-১৩ বছর ধরে এই নিয়ে আমরা কোনও কথা বলিনি। কারণ আমরা বদলা নয়, বদল চাই।’’
ব্রাত্য শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএমকে একের পর এক তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে এই সাংবাদিক বৈঠক করেছি। সিপিএম রাজনৈতিক দল নয়। একটা সভা। অ্যাটিটিউড, যার প্রধান লক্ষণ কাজ না করে বড় বড় কথা বলা। অন্যের কাজে খুঁত ধরা। এই কুৎসা করার ট্র্যাডিশনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও রয়েছেন এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একই কাজ করে যাচ্ছে।’’ এর পরেই সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে মুখ খোলেন।
আরও পড়ুন – তৈরি দুয়ারে সরকারের গাইডলাইন , ২০ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে সব কাজ,…
এর পরেই সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল অবধি জানতামই না। আমরা ওদের মতো কে কখন ট্রেনে, বাসে যাতায়াত করছে, বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করছে, খোঁজ করি না।’’ এখানেই থামেননি ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। তখনও গ্রুপ সি এবং ডিকে ওরা কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। নথি থেকে তাই পরিষ্কার নয় যে, ওঁর (সুজনের স্ত্রী) ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না।’’