রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হতেই টুইট মমতা, অভিষেকের, রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা অভিষেক, মমতা টুইটে লিখেছেন, ‘‘গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছল। যেখানে অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার অপরাধে!’’ তিক্ততা ভুলে লোকসভা থেকে বরখাস্ত রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে মমতা বা অভিষেক, কেউই রাহুলের নাম নেননি। তবে জোড়া টুইটের সময় দেখে মনে করা হচ্ছে, নাম না করলেও রাহুলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে ইদানীং টানাপড়েন চলছিল। যার শুরু সেই গোয়া ভোটের সময় থেকে। পরবর্তীতে তা ক্রমশ তিক্ত থেকে তিক্ততর হয়েছে। সম্প্রতি কালীঘাটের বৈঠকে কংগ্রেস নিয়ে তৃণমূল ‘নীতি’ স্থির করে। রাহুল গান্ধীকেও সরাসরি আক্রমণের পথে গিয়েছে তৃণমূল। সংসদে কংগ্রেস এবং কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ বিরোধী দলগুলির বৈঠকেও দেখা যায়নি তৃণমূলকে। মোদী বিরোধী পরিসরে নিজের মতো করেই ‘একলা’ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভার স্পিকার রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করতেই তিক্ততা ভুলে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন মমতা, অভিষেক। তাহলে কি রাহুলকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বিরোধী পরিসরে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে কাছাকাছি এনে দিল? সেই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- জিতেন্দ্রর স্ত্রীর চৈতালি তিওয়ারিকে গ্রেফতার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ নির্দেশ সুপ্রিম…
মমতা টুইটে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই বিজেপির মূল নিশানা হয়ে উঠেছেন। যখন অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার জন্য! আজ, গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছল।’’ অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটি।’’