স্নাতকে এখনই চার বছরের পাঠক্রম নয়, বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে সিদ্ধান্ত হবে, জানালেন ব্রাত্য

স্নাতকে এখনই চার বছরের পাঠক্রম নয়, বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে সিদ্ধান্ত হবে, জানালেন ব্রাত্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

স্নাতকে এখনই চার বছরের পাঠক্রম নয়, বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে সিদ্ধান্ত হবে জানালেন ব্রাত্য , এখনই স্নাতকে চার বছরের পাঠক্রম নয়। জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা নিয়ে বিতর্কে এক প্রকার জল ঢাললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানালেন, উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটি মতামত দেওয়ার পরেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তিন বছরের পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে এ রাজ্যে স্নাতক পাঠক্রম কি চার বছরেরই হবে? আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই কি চালু হবে নতুন নিয়ম? এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শনিবার জবাব দিলেন ব্রাত্য।

 

 

 

 

 

শনিবার ভাষামেলায় এসে ব্রাত্য এ-ও জানিয়ে দেন যে, বাংলা ভাষা পড়তেই হবে। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি ইংরেজি মিডিয়াম হলেও পড়তে হবে। বেসরকারি স্কুলে বাংলা পড়ানোর দাবি জানাতে পারি। ফতোয়া দিতে পারি না। বেসরকারি স্কুলে আবেদন জানাতে পারি, তারা যেন বাংলা পড়ায়। আমার ধারণা, অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলে বাংলা পড়ানো হয়। যাঁর যা মাতৃভাষা, তাঁর কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, মাতৃভাষার যেন সাড়ম্বর উদ্‌যাপন হয়। তাই এই ভাষামেলার আয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে তো প্রথম, যে কোনও রাজ্যে এই প্রথম ভাষামেলা উদ্‌যাপন হল। এই রীতি জারি রাখা হবে।’’

 

 

 

 

 

তিন বছরের পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে এ রাজ্যে স্নাতক পাঠক্রম কি চার বছরেরই হবে? আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই কি চালু হবে নতুন নিয়ম? এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শনিবার ভাষামেলায় যোগ দিয়ে ব্রাত্য বলেন, ‘‘এই নিয়ে কোনও কথা বলব না। চার বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে কমিটি গঠন করব। উপাচার্যদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে সেই কমিটি মত দেবে। তার পর এই বিষয় নিয়ে বলতে পারি।’’

 

 

আরও পড়ুন –  অয়নের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছুই জানতেন না দাবি স্ত্রী কাকলির

 

 

চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করার ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন শিক্ষামন্ত্রী। নতুন এই নিয়ম চালু করলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোরও দরকার। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই পরিকাঠামো রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘এই নির্দেশিকা নিয়ে আমরা বলতে পারি, পরিকাঠামো তৈরির জন্য যে প্রচুর টাকা দরকার, সেই বিষয়ে ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন) নীরব রয়েছে। সেই টাকাপয়সার ক্ষেত্রে পরিষ্কার নির্দেশিকা চাই।’’ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো দেখতে চায় রাজ্য। চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম আদৌ সেখানে চালু করা যায় কি না, তা দেখতে চাইছে রাজ্য।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top