ভোগান্তিতে কলোনি এলাকার বাসিন্দারা,জমির নথি নেই, জমির দলিল না থাকায় নিজেদের সম্পত্তির মিউটেশন করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে পুরসভা ওই সব এলাকার সম্পত্তিকর আদায় থেকে এক দিকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনই পুর পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংযুক্ত এলাকাভুক্ত ওই সব কলোনি এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের এই দুর্ভোগের কথা সম্প্রতি পুরসভার মাসিক অধিবেশনে তুলে ধরেছিলেন ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তপন দাশগুপ্ত। তার পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে এ বিষয়ে উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরে আবেদন করার কথা বলেছেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে জমির দলিল বিষয় ও পুনর্বাসন দফতরে আবেদন করার কথা বলেছেন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুরপ্রতিনিধি তপন পুরসভার মাসিকঅধিবেশনে এক প্রস্তাবে বলেন, ‘‘৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগঅঞ্চলই কলোনি। সেখানকার অরবিন্দনগর, সমাজগড় বা বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু পরিবার ৭০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একইজায়গায় বসবাস করছেন। তবু সংশ্লিষ্ট দফতরে বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও তাঁদের কাছে কোনও সরকারি কাগজ নেই। ওই নাগরিকরাযাতে নিরাপদে বসবাস করতেপারেন, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক।’’ এর পরেই ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওই সমস্ত এলাকার জমি উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের অধীনে রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করলে ভাল হয়।’’
আরও পড়ুন – এ বার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে ‘কিচেন গার্ডেন’ তৈরির নির্দেশিকা জারি করেছে…
টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘কলোনি এলাকার কিছু জমি এখনও উদ্বাস্তু ওপুনর্বাসন দফতর অধিগ্রহণ করেনি। ফলে বাসিন্দাদের পাট্টা দেওয়াহয়নি। ওই এলাকার অধিকাংশ জমি সংশ্লিষ্ট দফতর অধিগ্রহণ করে পাট্টা দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। যাঁরা পাট্টা পাননি, তাঁদের পাট্টা দিতে প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই কাজ হয়ে যাবে।’’
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )