‘কাউকে চাকরি দিলে বেশ করেছি’, স্বীকার মদনের ,কখনও তিনি বলেছেন সিপিএম-এর পতাকা উপড়ে ফেলবেন। কখনও আবার বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ‘বদমাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কখনও আবার খোদ পুলিশকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে তিনি। এবার আবার আত্মবিশ্বাসের সুর মদন মিত্রের গলায়। দৃপ্ত কণ্ঠে একটি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘কাউকে চাকরি যদি দিয়ে থাকি বেশ করেছি।’
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তাবড়-তাবড় তৃণমূল নেতাদের। বিরোধীদের গ্রুপ সি থেকে গ্রুপ ডি চাকরি বাতিলের তালিকায় যে সকল প্রার্থীরা রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই তৃণমূল নেতা কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ। অর্থাৎ কারচুপি করে শাসকদল তাঁদেরই কর্মীদের চাকরি দিয়েছে এমন অভিযোগ বারংবার উঠেছে। এই আবহে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য একপ্রকার আগুনে ঘি ঢেলেছিল। মন্ত্রী সিপিএম-এর কোর্টে বল ঠেলে বলেছিলেন,”বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নিয়ম ছিল, প্রত্যেক মন্ত্রী তাঁদের দফতর পিছু দুইজন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট নিতে পারবেন। ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই আইন সংশোধন করে দফতর পিছু তিন জন করা হয়।” ব্রাত্য সুরে সুর মিলিয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও একমত হয়েছিলেন। চাকরি দেওয়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “হিটলার হোক বা মাও সে তুং! আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কোনও রাজনৈতিক দল নেই যারা নিজের দলকে নিজেদের ক্ষমতায় চাকরি দেননি। পার্টির ছেলেরা খাটবে পরিশ্রম করবে তাঁরা চাকরি পাবে। অবশ্যই যাঁরা অনশন করছেন, যোগ্য তাঁরাও চাকরি পাবেন।”
আরও পড়ুন – ‘টিকিট না পেলে বিজেপির কথায় নির্দল প্রার্থী হবেন না’, কর্মীদের বার্তা তৃণমূল…
মঙ্গলবার বেলঘড়িয়া একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল নেতা। সেখান বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করার পাশপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। এরপর তৃণমূল সুপ্রিমকে ‘মা’বলে উল্লেখ করে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “মা তোমার যদি মনে হয় এই সন্তান একজনকেও চাকরি দিতে গিয়ে, কোনও কাজ করতে গিয়ে এক ইঞ্চিও দুর্নীতি করেছে তাহলে আমায় ফাঁসির চুল্লিতে চড়িও দিও। আমি কোনও দিন দুর্নীতি করিনি, কোনও দুর্নীতিতে জড়িত থাকিও না।” এরপরই তিনি বলেন, “যোগ্যরা অবশ্যই চাকরি পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাও চাকরি পাবেন। তৃণমূল করা মানে তাঁরা অযোগ্য এমনটা নয়। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছি তৃণমূলের মধ্যে যোগ্যদের চাকরি আবার দেব। এখানে অনেক চাকরি দিয়েছি। চাকরি কিলবিল-কিলবিল করছে। এক টাকাও নিইনি।”