প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে আটক তেলঙ্গানার বিজেপি প্রধান সঞ্জয় কুমার, তেলঙ্গানা রাজ্যের বিজেপি প্রেসিডেন্ট এবং বিজেপি সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমারকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্য রাতে করিমনগরের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে এই বিজেপি নেতাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তেলঙ্গানা সফরের আগে এই বিজেপি নেতাকে আটক করা ঘিরে ছড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এমনকি আটকের পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য বিজেপির রাজ্য প্রধানকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হঠাতে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে কেন বান্দি সঞ্জয়কে আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। এমনকি পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেই আটক করা হয়েছে তেলঙ্গানার এই বিজেপি নেতাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে বিজেপি-র উপর চাপ বাড়াতে কেসিআর সরকার এই ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ সে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের।
৮ এপ্রিল তেলঙ্গানা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দিন তিনি একটি বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। সেকেন্দ্রেবাদ- তিরুপতি বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, করিমনগরের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আটক করা হয়েছে বিজেপি সাংসদকে। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে তাঁকে নালগোন্ডার বোম্মালা রামারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তেলঙ্গানার বিজেপি প্রধানকে টেনে হিঁচড়ে ভ্যানে তোলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ দৃশ্যও সামনে এসেছে। তেলঙ্গানার বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুন – শাকিবের পরিবর্তে কাকে কিনল নাইট রাইডার্স? শাকিব আল হাসানের পরিবর্ত ঘোষণা করল…
ঘটনা নিয়ে তেলঙ্গানার বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দর রেড্ডি বুধবার বলেছেন, “বিজেপি রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয়কে কাল মধ্যরাতে আটক করেছে পুলিশ। অবৈধ ভাবে তাঁকে করিমনগরের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। সকালেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে? প্রধানমন্ত্রী মোদীর তেলঙ্গানা সফরের আগে অসুবিধা সৃষ্টি করার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছে।” পুলিশের আটক পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, “মধ্য রাতে কেন আটক করা হল সাংসদকে? তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলা, কী অভিযোগ রয়েছে? পুলিশ এখনও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। কেন তাঁকে আটক করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হল?” রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেছেন ওই বিজেপি নেতা। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে কেসিআর সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় এই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। এটা ‘গণতন্ত্র’ বিরোধী।” এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তেলঙ্গানা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক।