চার জেলায় চরম ভোগান্তি ,কুড়মি সমাজের রেল অবরোধ, বাতিল-ঘুরপথে বহু ট্রেন!এসটি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে লাগাতার রেল অবরোধ শুরু করলেম আদিবাসী সম্প্রদায়ের কুড়মি সমাজের সদস্যরা৷ এর ফলে এ দিন সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে৷ বাতিল করতে হয়েছে একাধিক ট্রেন৷ রেল লাইনের পাশাপাশি জাতীয় সড়কও অবরোধ করা হয়েছে৷ আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামিকাল সকাল ৬টার মধ্যে যদি তাঁদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে জঙ্গলমহলের প্রতিটি রাস্তাতেই অবরোধ করা হবে৷
দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের জেরে প্রায় ৩৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে । খড়্গপুর ও আদ্রা ডিভিশনের মধ্যে খড়্গপুর ডিভিশনে মোট ২৩টি, আদ্রা ডিভিশনে মোট ১৩টি ট্রেন ঘুরপথে চালানো হবে এবং পাঁচটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এর মধ্যে স্টিল এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সপ্রেস, গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস, জন শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন রয়েছে।
শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি নয়, এ দিন সকাল থেকে পুরুলিয়া জেলাতেও একই দাবিতে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে৷ পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন রেল লাইন অবরূদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা৷ অবরোধের জেরে পুরুলিয়া-হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস পুরুলিয়ার বদলে আদ্রা থেকে ছেড়ে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ছাড়াও বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়া জেলাতেও৷ দুরপাল্লার একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করে গোমো দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর জেরে সকাল থেকেই বাঁকুড়া স্টেশনে শুরু হয়েছে যাত্রী দুর্ভোগ। একাধিক ট্রেন বাতিলের ফলে অনেক যাত্রীই স্টেশনে এসেও ট্রেন না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। দিনভর এই দুর্ভোগ চলার আশঙ্কা রয়েছে৷ আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়বে৷ ফলে প্রবল গরমের মধ্যে যাত্রী ভোগান্তিও চরম সীমায় পৌঁছবে৷ প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেও আদিবাসী সমাজের রেল সড়ক অবরোধের ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ৷
আরও পড়ুন – বৃহস্পতিবার কি ইডেনে থাকবেন শাহরুখ? কী জানালেন বলিউড অভিনেতা?
এসটি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে সিআরআই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি, এই অভিযোগ তুলে গতকাল থেকেই খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা৷ আজ সকাল থেকে জাতীয় সড়কের পাশাপাশি শুরু হয় রেল অবরোধ৷ ফলে গতকাল থেকে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷