বিয়েতে উপহার বোমা ভরা হোম থিয়েটার, শেষমেশ পুলিশের জালে সদ্য বিবাহিত মহিলার প্রেমিক

 বিয়েতে উপহার বোমা ভরা হোম থিয়েটার, শেষমেশ পুলিশের জালে সদ্য বিবাহিত মহিলার প্রেমিক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিয়েতে উপহার বোমা ভরা হোম থিয়েটার, শেষমেশ পুলিশের জালে সদ্য বিবাহিত মহিলার প্রেমিক, গত সোমবার, বিয়েতে উপহার হিসাবে পাওয়া হোম থিয়েটারে বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যু হয়েছিল হেমেন্দ্র মেরাভি নামে ছত্তীসগড়ের কবিরাধাম জেলার এক ৩০ বছর বয়সী যুবকের। ওই ঘটনায় তাঁর দাদা রাজকুমার-সহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছিলেন। পরে হাসপতালে মৃত্যু হয় রাজকুমারেরও। একদিনের মধ্যেই এই রহস্যময় ঘটনার সমাধান করল ছত্তীসগড় পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার (৫ এপ্রিল) পুলিশ জানিয়েছে, নবদম্পতিকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হোম থিয়েটার সিস্টেমের মধ্যে বোমা রাখার হয়েছিল। বোমা রেখেছিল নববধূর প্রাক্তন প্রেমিক সরজু মর্কম। মঙ্গলবার রাতেই বালাঘাট জেলার ছাপলা গ্রামের ওই বাসিন্দাকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কবীরধাম জেলার পুলিশ সুপার লাল উমেদ সিং বলেছেন, “অভিযুক্ত পুলিশকে বলেছে যে, সে হোম থিয়েটারে বিস্ফোরকটি পুঁতে রেখেছিল এবং হত্যা করার উদ্দেশ্যে সেটি নববিবাহিত দম্পতিকে উপহার দিয়েছিল।”

 

 

 

 

তদন্তের স্বার্থে বালাঘাটের মান্দাই এলাকায় গিয়েছিল পুলিশ। সেখানকার এক বৈদ্যুতিন পণ্যের দোকানে হানা দিয়েছিল তারা। হোম থিয়েটার সিস্টেমটি ওই দোকান থেকেই কেনা হয়েছিল। দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছিল, সেটি কিনেছিলেন সরজু। সে অটো মেকানিক হিসেবে কাজ করে। এরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জেরায় সরজু জানিয়েছে, আতশবাজি থেকে সে প্রায় ২ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করেছিল। সেই সঙ্গে পেট্রোল এবং গানপাউডার ব্যবহার করে বোমা তৈরি করেছিল। তারপর সেই বোমা হোম থিয়েটারের ভিতরে লাগিয়েছিল। বিস্ফোরণ ঘটাতে সে যন্ত্রটির নিজস্ব পাওয়ার সাপ্লাইকে ব্যবহার করেছিল। ১ এপ্রিল বউভাতের দিন সরজু মর্কম চামারিতে এসে অন্যান্য উপহারের সঙ্গে রঙিন কাগজে মোড়ানো অবস্থায় হোম থিয়েটার সিস্টেম রেখে সেখান থেকে চলে গিয়েছিল।

 

 

 

 

কিন্তু, এখজন অটো মেকানিক কীভাবে বোমা তৈরি করা শিখল? পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ সালে ইন্দোরে এক স্টোন ক্রাশার প্ল্যান্টে কাজ করত সরজু মর্কম। সেখানেই সে জেনেছিল, কীভাবে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বোমা তৈরি করতে হয়। ওই মহিলাটি তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করার পরই সে নবদম্পতিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। এখনও পর্যন্ত এই অপরাধে সরজু ছাড়া আর কোনও ব্যক্তির জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সরজুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় হত্যা, হত্যার চেষ্টা এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।

 

 

আরও পড়ুন –  খুলে যাচ্ছে কেদারনাথ ধাম ,পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

 

 

৩১ মার্চ, নিকটবর্তী অঞ্জনা গ্রামের ২৯ বছর বয়সী এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কবীরধামের চামারি গ্রামের বাসিন্দা হেমেন্দ্র মেরাভির। ১ এপ্রিল ছিল বউভাত। তার দুদিন পরই ঘটে ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে বারুদের চিহ্ন পেয়েছিল পুলিশের ফরেন্সিক দল। এরপরই বর ও কনের পরিবারের সদস্যদের জেরা করা হয়। পুলিশি জেরা এবং নববধূর ফোনের কল রেকর্ড ঘেঁটে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত সরজু মর্কমের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। হেমেন্দ্র মেরাভির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওই মহিলা। এতে অসন্তুষ্ট হয়েছিল সরজু মর্কম।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top