দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে না পড়ুয়াদের। সুপারিশ কেন্দ্রের পাঠক্রম কমিটির ,২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষানীতির পর্যালোচনা হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ঘোষিত হয় নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি। ১৯৮৬ সালের পর আবার পাঠক্রম আমূল বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অনুসরণ করে তৈরি জাতীয় পাঠক্রম পরিকাঠামো (ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক বা এনসিএফ) অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় এ বার নতুন পদ্ধতি আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এনসিএফের নয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, নয়া পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। সেখানে প্রথম শ্রেণির আগে তিন বছরের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে নিশঙ্কের উত্তরসূরি ধর্মেন্দ্র প্রধান প্রাথমিক এবং প্রাক প্রাথমিক (অঙ্গনওয়াড়ি) স্তরের শিক্ষার খোলনলচে বদলানোর কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এনসিএফের খসড়া মেনেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
আরও পড়ুন – ‘অসভ্য পোশাক পরা মেয়েরা সূর্পনখার মতো’, ফের বেফাঁস মন্তব্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়র
খসড়ায় কি বলা হয়েছে?
‘পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশু পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ না পড়ে।’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে এ সংক্রান্ত সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপের সুপারিশ। এনসিএফের নয়া খসড়ায় দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার বদলে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। তাতে শিশুর পর্যবেক্ষণ এবং তাদের শেখার অভিজ্ঞতাকে বিশ্লেষণের উপর জোর দেওয়ার কথা রয়েছে।
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)