‘ফিরহাদের পাড়া থেকেই ২৪ জন চাকরি পেয়েছে’, সজল ঘোষের মন্তব্যের জবাব দিলেন মেয়র , সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বিলি করা বালতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সেই ঘটনার দু’দিন যেতে না যেতেই এবার পুরসভার নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি কাউন্সিলর। তাঁর দাবি কলকাতা পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই অভিযোগ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন সজল। শাসক দলকে নিশানা করে তিনি লেখেন, “কলকাতা কর্পোরেশনের একটি বিশেষ বিভাগে ১৪৮ জন কর্মীর চাকরি হয়েছে যাদের মধ্যে ১১৮ জন নদিয়া বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে, ২৪ জন চেতলা বা ববি হাকিমের পাড়া থেকে আর বাকি ৬ জন ভদ্রেশ্বর বা বৈদ্যবাটি স্টেশন অঞ্চল থেকে।”
এখানেই শেষ নয়, বিজেপি নেতা আরও লিখেছেন,’চিঠির তলায় নাম আছে মিউনিসিপাল সচিবের। আমি তাঁর কাছ থেকে জবাব চাইব শুধুমাত্র এই তিনটে পাড়ার মানুষ এই ১৪৮টি পদের জন্য চাকরির দাবি করেছিলেন? বাংলার অন্য কোনও প্রান্তের মানুষ কি এই চাকরি করার উপযুক্ত ছিলেন না? নাকি আজকাল যা টিভিতে দেখছি খবরে কাগজে পড়ছি, সেই রকম কোনও গল্প এখানে আছে, সেক্রেটারি মশাই ও মেয়র জবাব দিন।’
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে পুরসভার বালতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সজল ঘোষ। একটি পোস্টে বিজেপি নেতা লেখেন যে কলকাতার মানুষ দুটি করে গুজরাটি বালতি পেয়েছেব,আমি বালতির সঙ্গে একটি বিলও পেয়েছি, একেকটি বালতির মূল্য মাত্র ১১৩ টাকা (GST ছাড়া) দাম শোনার পর দয়া করে এর ব্যবহার বন্ধ করে মেয়ের বিয়েতে যৌতুক হিসেবে তুলে রাখবেন না।’ এরপর মেয়রকে উদ্দেশ্য করে তিনি প্রশ্ন করেন কত টাকার বালতি এসেছে আর বালতি করে মেয়র এবং আধিকারিকদের ঘরে কত কোটি টাকার কাটমানি এসেছে?
আরও পড়ুন –রাতে অবৈধ পার্কিং রুখতে নোটিস দেবে পুরসভা
যদিও, সজল ঘোষের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মেয়র বলেন, “এই সব নিয়ে আমি কিছু বলব না। কারণ নোংরামি হচ্ছে। যে পরীক্ষা দিয়েছে সে চাকরি পেয়েছে। আমি কী করে বলব? যে দিন ববি হাকিমের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হবে সেদিন সিবিআই-এর প্রয়োজন হবে না। আমি নিজেই আত্মাহুতি দিয়ে দেব।”
এ দিন মেয়রের জবাব শোনার পর পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে নারদা স্টিং অপারেশনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “২ লক্ষ লোক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৮ জন তিনটি পাড়ার। কীভাবে সম্ভব হয়?”