এ বার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বড় নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার ,স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হলেও অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। গরমের ছুটি এগিয়ে আনার জন্য পঠন-পাঠনের যে সময়সীমা নষ্ট হচ্ছে তার ক্ষতিপূরণ করতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। তার জন্য স্কুলের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। ২ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। অত্যাধিক গরমের জন্য ছুটি এগিয়ে আনা হলেও অতিরিক্ত ক্লাস করাতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুল খুললেই। গরমের ছুটি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
এ ছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গরমের ছুটি যাতে কার্যকর করা হয়, সেই মর্মে আইসিএসসি, সিবিএসসি বোর্ডের স্কুলগুলিতেও চিঠি দিল রাজ্য সরকার৷ দু’টি বোর্ডকেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে এই ছুটি নিয়ে৷
সাম্প্রতিক সময়ে আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে পড়ায় ছাত্রছাত্রী ও খুদে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ পাশাপাশি, এ-ও জানানো হয়েছে, এর মধ্যে যদি বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে ফের স্কুল খুলে দেওয়া হবে৷ পঠনপাঠনে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সিলেবাস যাতে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়, সেই বিষয়েও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷
আরও পড়ুন – মধ্যরাতেও চলবে মেট্রো, আইপিএল চলাকালীন এই বিশেষ পরিষেবা
ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী পারদ, তার সঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ, গরমে নাজেহাল অবস্থা কচিকাঁচাদের৷ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে ৪২-এর পথে এগোতে চলেছে তাপমাত্রা৷ সঙ্গে শুকনো গরম হাওয়া৷ আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়, এমনকি, উত্তরবঙ্গের তিন জেলাতেও তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর৷ বাধ্য হয়ে স্কুলের পঠনপাঠন সকালের দিকে এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান, মালদহের মতো জেলা প্রশাসন৷ একাধিক জেলায় স্কুলের সময়সূচিতেও বদল আনা ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে৷
তীব্র গরম৷ রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে দাবদাহের সতর্কতা৷ এই পরিস্থিতিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ এবার ২ মে থেকে ছুটি পড়ে যাবে প্রত্যেক সরকারি স্কুলে৷ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর৷ আগের নির্দেশ অনুযায়ী, মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল৷