অপেক্ষা ২০ এপ্রিলের ! রাহুলকে কি জেলে যেতেই হবে ? না কি মুক্তি পাবেন?

অপেক্ষা ২০ এপ্রিলের ! রাহুলকে কি জেলে যেতেই হবে ? না কি মুক্তি পাবেন?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অপেক্ষা ২০ এপ্রিলের ! রাহুলকে কি জেলে যেতেই হবে ? না কি মুক্তি পাবেন? দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা মকুব হবে কি হবে না, তা জানতে রাহুল গান্ধীকে অপেক্ষা করতে হবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। সুরাট জেলা ও দায়রা আদালত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) কংগ্রেস নেতার করা আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল। মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফৌজদারি মানহানির মামলায়, সুরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল রাহুলকে। ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সেই রায় ও সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জেলা আদালতে আবেদন করেছেন রাহুল গান্ধী। এর আগে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদীর যুক্তি শোনে আদালত। এদিন শুনানি শেষ হলেও রায় ঘোষণা করা হল না।

 

 

 

 

 

 

প্রায় চার বছর আগে কর্নাটকের কোলারে এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিবলেন, “নীরব মোদী, ললিত মোদী, নরেন্দ্র মোদী। সব চোরের সাধারণ উপাধি ‘মোদী’ হয় কী করে?” এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাহুল গান্ধী ‘মোদী’ উপাধিধারী সকল ব্যক্তির মানহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন পূর্ণেশ মোদী। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। ২৩ মার্চ সুরাটের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাদিরাশ ভার্মা এই ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। বিচারক বলেছিলেন, রাহুল গান্ধী রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে মোদী উপাধিধারী সকল ব্যক্তিকে অপমান করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে, রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ হারিয়েছেন।

 

 

 

আরও পড়ুন –   তৃণমূল নিয়ে বড় প্রশ্ন করতেই উত্তরে কি বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ?

 

 

 

এদিন শুনানির সময়, রাহুল গান্ধীর আইনজীবী যুক্তি দেন, ফৌজদারি মানহানি আইন অনুসারে, যে ব্যক্তির মানহানি করা হয়েছে, শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। কোনও সংস্থা বা গোষ্ঠীর মানহানি করা হলে, সেই সংস্থা বা গোষ্ঠীর সদস্যদের মানহানি হয়। মোদী উপাধিধারীরা কোনও গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারে কি না সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কারণ মোদী কোনও বর্ণ বা জাতি নয়। কাজেই পূর্ণেশ মোদীর এই বিষয়ে কাছে অভিযোগ দায়ের করার অভিযোগ আছে কি না, তাই আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যটি মোদী উপাধিধারী সকল ব্যক্তির মানহানি করার উদ্দেশ্যে ছিল কি না, তাও আদালতকে বিশ্লেষণ করতে হবে। মামলাটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক কথা বলার ফল ছাড়া কিছুই না বলেও দাবি করা হয় রাহুলের পক্ষ থেকে। ট্রায়াল কোর্টে উপস্থাপন করা সাক্ষ্যে পুরো বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়। ঘটনাটি কর্নাটকের কোলারে ঘটেছিল। তাই এই মামলার বিচারের ক্ষেত্রে সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top