পনেরো (১৫) বছরের পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করলেই নতুন পারমিট, ঘোষণা পরিবহণ মন্ত্রীর,জানালেন রাজ্যেের স্ক্র্যাপ পলিসির বিষয়ে। গ্রীন ট্রাইবুনাল কোর্টের নির্দেশে ১৫ বছরের উর্ধে সমস্ত গাড়ি বাতিল হতে চলেছে। এর জন্য রাজ্যে নতুন করে চালু হতে চলেছে স্ক্র্যাপ পলিসি। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে এসে জানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন মন্ত্রী জানান, স্ক্রাপ হওয়া গাড়ির জায়গায় নতুন পারমিট দেওয়া হবে। যাতে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি গাড়ি সংক্রান্ত ব্যাপারে অর্থনীতি অনেকটা সচল হয়।
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের দফতরে একটি বৈঠকে যোগ দিতে বর্ধমানে আসেন মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ দফতরের মুখ্যসচিব সৌমিত্র মোহন, পরিবহণ ডিরেক্টর, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা সহ জেলা পরিবহণ দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা। তিনি আরও জানান, বাম আমলে RTO, ARTO অফিস গুলিতে দালাল চক্রের বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। বর্তমান সরকার এই দালাল চক্র ভাঙতে একশো শতাংশ অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে
উল্লেখ্য, নতুন স্ক্র্যাপ পলিসি চালু হলে সরকার নির্ধারিত জায়গা থেকেই গাড়ি স্ক্র্যাপ করতে হবে। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এই কাজ পরিচালিত হবে। তার জন্য লোকালয় থেকে অনেক দূরে এবং স্বাস্থ্যহানী হবে না এমন নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই গাড়ির মালিককে স্ক্র্যাপ করাতে হবে। তবেই পরিবহণ দফতর থেকে মিলবে বিশেষ সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে আবার নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে। এমনই নিয়ম চালু করতে চলেছে রাজ্য। যদিও এ নিয়েই ইতিমধ্যে আপত্তি তুলেছে বাস সিন্ডিকেটগুলি। যদিও বিষয়টি নিয়ে বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে পরিবহণ দফতর আলোচনা করবে বলে খবর।
মন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে ১৫৩ টি অনলাইন সিস্টেম চালু হয়েছে যা গোটা দেশে কোথাও নেই। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে দাবি পরিবহণ মন্ত্রীর। এদিন তিনি বলেন, “পলিউশন চেক করার জন্যও নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। যাতে সব জায়গাতেই পলিউশন অ্যাকিউরেসি একই থাকবে।”
আরও পড়ুন- অমর্ত্যকে সেনের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’-এর হুঁশিয়ারি, নোটিস জারি করল বিশ্বভারতী
পাশাপাশি সমস্ত সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ফিটনেস সার্টিফিকেট সহ সমস্ত কাগজপত্র আপ টু ডেট করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়াও বে-আইনি গাড়ির মুভমেন্ট রুখতে এনফোর্সমেন্ট টিমকে আরও শক্তিশালী করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, এই খাতে গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় এই আর্থিক বর্ষে সাতশো কোটি টাকা বেশি আয় করেছে রাজ্য সরকার।