কেন গ্যাংস্টারের এনকাউন্টার করা হল, FIR-এ রহস্যভেদ ,এনকাউন্টারে নিহত আসাদ ও গুলাম। একটা এনকাউন্টার, আর তা ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশে। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশে এনকাউন্টারে (Encounter) খতম করা হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদ(Asad Ahmed)-কে। তাঁর সহকারী গুলামকেও নিকেশ করে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (UP Police Special Task Force)। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৪২টি গুলি চালানো হয়েছিল আসাদের উপরে। তবে নিকেশ নয়, জীবিত অবস্থাতেই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদকে ধরতে চেয়েছিল পুলিশ। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে পুলিশের এফআইআরে (FIR)।
পুলিশের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, গুলি লাগার পরও জীবিত ছিল আসাদ ও গুলাম। তাদের সঙ্গে সঙ্গে দুটি আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আসাদ ও গুলামের কাছ থেকে বুলেট, দেশি পিস্তল সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আতিক আহমেদের গ্যাংয়ের সদস্যরাই গত ১৩ এপ্রিল খবর দেয় যে ঝাঁসীতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে আসাদ ও গুলাম। ওখান থেকে তাঁরা মধ্য প্রদেশে পালানোর ছক কষছে।
এছাড়াও উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, “বাইকে চেপে পালাচ্ছিল আসাদ ও তাঁর সহকারী গুলাম। পুলিশ তাদের ধরার চেষ্টা করে। যেই মুহূর্তেই পুলিশের গাড়ির চালককে ওই বাইক ওভারটেক করতে যায় এবং পলাতক আসাদ ও গুলামকে থামতে বলা হয়, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বাইক ঘুরিয়ে কাঁচা রাস্তায় ঢুকে যায়। ততক্ষণে পুলিশের অন্য একটি দল আসাদ ও গুলামকে ঘিরে ধরে। বাইকের চাকা পিছলে একটি বাবুল গাছের নীচে পড়ে যায়।”
আরও পড়ুন – তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা! নিয়োগ মামলার তদন্তে অভিযান মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বললেও আসাদ ও গুলাম সেই কথা শোনেননি। বরং গাছের পিছনে আশ্রয় নিয়ে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও গাড়ি থামিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়। ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে ঢুকে আসাদ ও গুলামকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। কিন্তু আসাদ ও গুলাম পুলিশদের মারতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। বাধ্য হয়েই পুলিশ গুলি চালায়। কিছুক্ষণ এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পর অপর প্রান্ত থেকে গুলি চলা বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সামনে গিয়ে দেখতে পায়, আহত হয়েছে আসাদ ও গুলাম।