অ্যাম্বুল্যান্স রেডি, জলভর্তি ট্যাঙ্কও ঘুরছে নানা প্রান্তে, তাপপ্রবাহে কি কি প্রস্তুতির কথা বললেন ফিরহাদ,এপ্রিল মাসের রেকর্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতাবাসীর (Kolkata Heatwave)। এর আগে চৈত্র মাসে এমন দাবদাহ কখনও দেখেনি বাংলা। সংক্রান্তির দিন তাপমাত্রা পেরিয়ে গেছে চল্লিশের কোঠা। রোদে-ঘামে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। কলকাতা-সহ ১৪ জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ, জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা।
এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম (Firhad Hakim)। আশ্বস্ত করলেন একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এদিন ববি বলেন, ‘তাপপ্রবাহ চলছে, মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার অবস্থা। এত গরমে লুয়ের মতো পরিস্থিতি। আমরা গতকাল পুরসভার তরফে একটা নোটিস বার করেছি। অ্যাম্বুল্যান্স রেডি রাখতে বলেছি, যদি কেউ মাথা ঘুরে পড়ে যায়, সানস্ট্রোক হয়ে যায়, তাকে যাতে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেওযা যায়।’
কেবল পুর দফতর নয়, পাশাপাশি রাজ্য সরকারও তত্পর আছে বলে উল্লেখ করেন ববি। তিনি পরামর্শ দেন, দুপুরে যাতে যতটা সম্ভব কম বেরোনো যায়, সেই ব্যবস্থা করতে। তিনি বলেন, ‘আমি সকলকে বলছি সকালের দিকে বেশি কাজ করতে, ১২ থেকে ৪টে না বেরোতে।’
এই তীব্র গরমে শহরের জলকষ্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ববি বলেন, জলের যাতে কষ্ট না হয়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা হচ্ছে। জলের ট্যাঙ্কগুলি সব ভর্তি রাখা হচ্ছে। কম-বেশি জল আছে সব জায়গায়। তবে তার পরেও জল নিয়ে যা খানিকটা টানাটানি হয়ই, সে কথা স্বীকার করেছেন ববি।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘এই সময়ে গঙ্গার জলস্তরও কমে যায়, সে জন্য জলের সঙ্গে কাদা ওঠে। সেই কাদা বসিয়ে রেখে জলটা আগে পিউরিফাই করতে হয়। জলের সাপ্লাই নদীই কম দেয়। ডিপ টিউবওয়েলেও জলস্তর নেমে যায়। কিন্তু আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার। তবু একটু কম হয়ে যায় জল, কারণ এখন মানুষের জল বেশি লাগে। এমনিতে মানুষ একবার স্নান করলে এখন তিনবার করে। ফলে তিনগুণ জল খরচ হয়। কিন্তু সাপ্লাই তো তিনগুণ হয় না, বরং কমে যায়।’
আরও পড়ুন – গোপালের বাড়িতেও সিবিআই হানা! চলছে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ
ফিরহাদ আরও জানিয়েছেন, জলের ভ্রাম্যমাণ ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে শহরের নানা প্রান্তে, সেগুলো ঘুরছে চারদিকে। টালা, গার্ডেনরিচ থেকে একটু দূরে অবস্থিত জায়গাগুলোয় সরবরাহ কম হওয়ার কারণে ওই ট্যাঙ্ক দিয়ে মেক আপ দেওয়া হচ্ছে। তবে কলকাতায় জলের কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।