আতিকহত্যা নিয়ে টুইট মমতার ,যোগীরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। উত্তরপ্রদেশের নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার দৃশ্যে স্তম্ভিত! শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে তিন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে গ্যাংস্টার থেকে নেতা হওয়া আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার দৃশ্যে আমি স্তম্ভিত!’’ মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, ‘‘এটা চূড়ান্ত লজ্জার যে, অপরাধীরা পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে।’’ যদি ও এ নিয়ে এখনও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
প্রয়াগরাজে আতিক-হত্যাকাণ্ডের খবর আসার পর থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ব্যতিক্রম নয় তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষের সুরে টুইট করেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি? বিজেপি কী বলে?’’
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, সত্যপাল মালিকের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার থেকে নজর ঘোরাতেই কি বিজেপি এই কাজ করিয়েছে?
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ বা সুকান্ত মজুমদার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যে কায়দায় রাজ্য চালান, সেই মডেল-প্রশাসন বাংলায় আমদানি করা হবে বলে দাবি করেন হামেশাই। কিন্তু শনিবারের ঘটনা নিয়ে তাঁরা এখনও পর্যন্ত নীরব। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের প্রশ্ন, ‘যোগী-মডেল’ বলতে কি আতিক-হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাকে বাংলায় টেনে আনতে চাইছে বিজেপি?
আরও পড়ুন – বিধায়কের ফোন উদ্ধারে পাড়ার তৃণমূল নেতাকেই পুকুর ছাঁচার দায়িত্ব দিল CBI
সারা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে শনিবার রাতে প্রয়াগরাজের ঘটনা। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করা বিজেপি এখনও এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। যদিও চুপ নেই বিরোধীরা। আদিত্যনাথের রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে আক্রমণ শুরু। এ বার টুইট করে সেই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মমতা। টুইটে তিনি লিখলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত। এটা চূড়ান্ত লজ্জার যে, অপরাধীরা পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এই ধরনের বেআইনি কাজের কোনও জায়গা নেই।’’