DA-নিয়ে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল আদালত ,আগামী ১০ দিনের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার বসার নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা। রাজ্য সরকার তা করেনি বলে আদালতে অভিযোগ করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। এবার রাজ্যকে সময়সামী বেঁধে দিল আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার বসার নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে তৈরি হবে ওই কমিটি। তবে কবে বৈঠক হবে, সেই দিন ধার্য করে দেয়নি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ফেডারেশনকে আদালতের পরামর্শ, সুপ্রিম কোর্টে মামলা আছে তাই আপাতত পেন ডাউন না করবেন না।
রাজ্যের তরফ থেকে তখন জানানো হয়, “বকেয়া বিষয় ঠিক করবে শীর্ষ আদালত। বাকি বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। আমরা দিন জানিয়ে দেব।”
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসের শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে রাজ্যকে। এবং সেই বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও জানাতে হবে আদালতকে। রাজ্য জুড়ে যখন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা, তখনই সেই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসার কথা ছিল আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের। কিন্তু এতদিনও সেই বৈঠক হয়নি। এবার আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই বৈঠকে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – ‘ইচ্ছা করলেই ভ্যানিস করে দিতে পারি’, নাম না করেই শাসক দলকে ভর্ৎসনা…
এদিন মামলা চলাকলীন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের কাছে আদালত জানতে চায়, “আপনারা কী ভাবছেন? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কিছু বলার নেই। অনেক যুবক কাজ করছেন। তাঁদের কী মনোভাব তৈরি হবে? শীর্ষ আদালত যদি আবার স্থগিতাদেশ দেয় কী করবেন?” আন্দোলনকারীদের পক্ষে সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতে সওয়াল করেন, ২০১৬ থেকে মামলা চলছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কোন কাজ হয়নি। ৮০ বছরের অনেকেও আছেন। তাদের কী হবে?