কলকাতা মেট্রোর নয়া মাইলফলক জোকা-এসপ্ল্যানেড রুটে , জোরকদমে চলছে মেট্রোর (Kolkata Metro) সম্প্রসারণের কাজ। শহরের একাধিক প্রান্তে চলছে কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজ। গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর টেস্ট রানও ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। এবার কলকাতা মেট্রোর আরও একটি সাফল্য জোকা-এসপ্ল্যানেড (Joka-Esplanade) মেট্রো প্রকল্পের কাজে। জোকা-এসপ্ল্যানেড লাইনের জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। এবার তারাতলা থেকে এসপ্ল্যানেডের (Taratala-Esplanade) কাজেও আরও গতি আনছে মেট্রো। ডায়মন্ড হারবার রোড ও বর্ধমান রোডের ক্রসিয়ের কাছে বসানো হয়েছে ৫০ মিটারের স্টিলের কম্পোজিট গ্রাইডার (Composite Grider)। শহরের ব্য়স্ততম এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। সেই ব্যস্ত এলাকায় গ্রাইডার বসানোর কাজ মোটেই সহজ ছিল না। অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল কাজটি।
প্রসঙ্গত, কলকাতা মেট্রোর একাধিক রুটে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কিছুদিন আগেই গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর টেস্ট রান হয়েছে। চলতি বছরেই এই গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গঙ্গার নীচ দিয়ে এই মেট্রো চালু হওয়ার অপেক্ষায় বহুদিন ধরে আশায় বুক বেঁধে বসে রয়েছেন শহরবাসী। এই রুটটি একবার পুরোদমে চালু হয়ে গেলে হাওড়া ময়দানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে সেক্টর ফাইভ। এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬.৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১০.৮ কিলোমিটার মাটির তলা দিয়ে যাবে। মাটির উপর দিয়ে রয়েছে বাকি ৫.৭৫ কিলোমিটার পথ।
আরও পড়ুন – সিবিআই কেন ডেকেছে, কত তারিখের চিঠি কখন পেয়েছেন তিনি? সবটাই নিজেই জানালেন…
কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানাচ্ছেন, এই এলাকাটি ভীষণভাবে জনবহুল। কাছেই রয়েছে পেট্রোল পাম্প, দোকান এবং বাড়ি-ঘর। এক্ষেত্রে ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মেট্রোর জন্য। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ট্র্যাফিক ব্লক করে এই কাজটি করা হয়েছে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের শীর্ষ কর্তারা এবং অন্যান্য কর্মীরা দিনরাত এক করে দিয়েছেন, যাতে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। চারটি প্লেট নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই গ্রাইডারটি। কর্মীদের জন্য যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনেই গোটা প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৌশিক মিত্র।