ফের ধাক্কা রাহুলের, মোদি-পদবি বিতর্কে সুরাত আদালতে (Surat Court) ধাক্কা খেলেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। ২ বছরের সাজার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করল আদালত। ২০১৯-এর মোদি-পদবি বিতর্ক মামলায় এর আগে আদালত রাহুলের ২ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। মূল মামলার শুনানি হবে ২০ মে। নিম্ন আদালত আবেদন খারিজ করায়, এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে রাহুল গাঁধীকে l
২০১৯-এ লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) সময় কর্ণাটকে সভা করতে গিয়ে রাহুল কটাক্ষ করেন, সব চোরেদের পদবি কী করে মোদি হয়। রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্ক শুরু হয়। রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। কড়া নিরাপত্তায় আজ সকালে সুরাত জেলা আদালতে পৌঁছন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর উপস্থিতিতেই রায় শোনায় আদালত। সাজা কমানোর আবেদন জানান রাহুল। তাঁর বয়ানে কারও ক্ষতি হয়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন।
মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর এই মন্তব্য়ের জন্য় রাহুল গাঁধীকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্য়স্ত করে গুজরাতের সুরাত আদালত। মানহানির মামলায় ২ বছরের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এই রায়ের প্রতিবাদে সংহতি মিছিলের ডাক দেয় কংগ্রেস। সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিলে অংশ নেন সব সাংসদ। একজোট বিরোধিতা গড়ে তুলতে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
আরও পড়ুন – প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে না পারলে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেব, মমতার উদ্দেশে বললেন শুভেন্দু
মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। মানহানি-মামলায় (Rahul Gandhi Defamation Case) ২ বছরের সাজা ঘোষণা করে সুরাত জেলা আদালত। পরে আদালত থেকেই জামিন পান কংগ্রেস সাংসদ। তবে ২ বছরের সাজা ঘোষণায়, সাংসদ পদ খোয়াতে হয় রাহুলকে ।