নবান্নকে চিঠি দিল সেই প্রিয়ঙ্কের কমিশন ,তিলজলাকাণ্ডে পুলিশের শাস্তি ও সিবিআই তদন্তের সুপারিশ! তিলজলায় শিশু খুন এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে পাঠানো চিঠিতে প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য এ ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ করেছে তা লিখিত ভাবে জানানোর কথা বলা হয়েছে। তিলজলাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত বলেও মনে করে কমিশন। পাশাপাশি, ‘দোষী’ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছে কমিশন।
সেই ঘটনায় রাজ্যের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি এল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে। সুপারিশ করা হল দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও। তিলজলার ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো যেতে পারে বলে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন সেই চিঠিতে লিখেছে। পাশাপাশি চিঠি প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট’ পাঠাতেও বলা হয়েছে। কলকাতা ঘুরে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন কী কী দেখেছে, মানুষের সঙ্গে কথা বলে কী জানতে পেরেছে, সেই ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘গুন্ডা’ বলায় বেজায় চটলেন শুভেন্দু ,
গত ২৬ মার্চ তিলজলায় এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় আগুন জ্বলে ওঠে। লালবাজার সূত্রে খবর, ২৬ মার্চ ময়লা ফেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় একটি শিশু। অভিযোগ, তিলজলা থানার পুলিশ এই সংক্রান্ত নিখোঁজ ডায়েরিকে প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি। পরে ওই আবাসনে পুলিশি তল্লাশি শুরু হলে তেতলার ফ্ল্যাট থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, ময়লা ফেলে ফ্ল্যাটে ফেরার সময়ে অলোক কুমার শিশুটির হাত ধরে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে যায় এবং খুন করে। অভিযোগ, তার উপরে যৌন নির্যাতনও চালানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে তিলজলা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়। ঘটনার তদন্তে কলকাতায় আসেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। প্রিয়ঙ্কদের কলকাতায় পা দেওয়ার পরে শুরু হয় নতুন সমস্যা। প্রকাশ্যেই বিরোধ বাধে জাতীয় এবং রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনদের মধ্যে। এর মধ্যেই তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরে প্রিয়ঙ্ক অভিযোগ করেন, সেখানে ক্যামেরায় (বডি ক্যাম) সব রেকর্ড করা হচ্ছিল। তিনি আপত্তি জানালে তিলজলা থানার তৎকালীন ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায় তাঁকে মারধর করেন। পরে অবশ্য প্রিয়ঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বককে সরিয়ে দেয় লালবাজার।