সংঘাতের মধ্যেই এবার আরও এক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে রাজ্যপাল, রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত যখন ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে, তখন আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আচমকা হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেলা ১২ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। রাজ্যপাল কথা বলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও অন্যান্য অধ্যাপক ও কর্মীদের সঙ্গে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের কী কী সমস্যা আছে, তা বোঝার জন্যই তিনি গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সিভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে, যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে ঘরে বসতেন, সেখানে গিয়ে বসেন তিনি, বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে প্রণাম করেন তিনি। ওই ঘরটির সংরক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরির আধুনিকীকরণের যে কাজ চলছে, সেই কাজও এদিন ঘুরে দেখেন তিনি।
সম্প্রতি রাজ্যপাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করার পর তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছিলেন, ‘শ্বেত হস্তীর মতো বা মত্ত হস্তীর মতো যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা আমাদের কাছে বাস্তবোচিত, সমীচীন ও সঙ্গত ঠেকছে না।’ তবে বিরোধীদের দাবি, আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতেই পারেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, এদিন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি তৈরি করার নিয়ম নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্যের আলোচনা হয়েছে। উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপাল সব ঘুরে দেখেছেন। ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরির কাজ সুষ্ঠভাবে করতে কমিটি গঠন করার কথাও বলেছেন। ২০২৪-তে ২০০ বছর পূর্তি হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। সে ব্যাপারেও এদিন আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন – সাত ঘণ্টা ইডি দফতরে শ্বেতা, বেরিয়ে কী বললেন ‘অয়ন-ঘনিষ্ঠ’?
রাজ্যপাল বাইরে বেরিয়ে বলেন, ‘এটা সারপ্রাইজ ভিজিট নয়, মোটিভেশনাল ভিজিট। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে কীভাবে সমাধান করা যায়, এ বিষয়ে কথা হয়েছে।’ রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগর বসতেন। আমি মনে কপি এখান থেকেই রেনেসাঁ শুরু হয়েছিল।’