মুর্শিদাবাদে লুকিয়ে আতিকের শাগরেদ গুড্ডু মুসলিম! গত সপ্তাহে পুলিশি হেফাজতে, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইকে। তার আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আতিকের ছেলে আসাদেরও। এখন খোঁজ চলছে আতিকের ঘনিষ্ঠ শাগরেদ তথা উমেশ পাল হত্যার আরও এক অভিযুক্ত গুড্ডু মুসলিম ওরফে ‘বমবাজ গুড্ডু’র। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে, তদন্তকারীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা বা তার আশপাশে কোথাও আত্মগোপন করে আছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গত তিনদিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে তদন্তকারীরা। এর আগে গুড্ডু মুসলিমের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ওড়িশা এবং ছত্তীসগঢ়ে।
সামনেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচন। তার আগে আতিক আহমেদ-সহ উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার সমস্যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। শাসক-বিরোধী সব পক্ষের প্রচারেই উঠে আসছে আতিক হত্যা প্রসঙ্গ। একদিকে সমাজবাদী পার্টি ‘সন্ত্রাস ও অনাচারের রাজত্ব’ কায়েম করেছে বলে নিশানা করছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে। পুলিশি হেফাজতে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়েছে আতিককে, এটাই তাদের দাবি। অন্যদিকে, বিজেপি অতিক আহমেদ এবং মুখতার আনসারিদের মতো গ্যাংস্টারদের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সংযোগের অভিযোগ তুলেছে। সোমবার তারা ‘গুন্ডে পুকার্তে হ্যায় অখিলেশ আইয়ে’ নামের একটি প্যারোডি গানও প্রকাশ করেছে। মুখতার আনসারি এবং আতিক আহমেদের সঙ্গে অখিলেশ যাদবকে দেখা করার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে গানটির ভিডিয়োয়। এরইমধ্যে গুড্ডু মুসলিমের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন – তৃণমূল বিধায়ক জীবনের ফোনে অডিয়ো ক্লিপের ছড়াছড়ি! হেফাজতে চেয়ে কী যুক্তি দিল…
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের আগে গুড্ডু মুসলিম ওড়িশার বরগঢ় শহরের এক জায়গায় লুকিয়ে ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে রাজা খান নামে গুড্ডুর এক সহকারীকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। জেরায় সে জানিয়েছে, পুলিশ যাতে তাকে চিনতে না পারে, তার জন্য বেশ বদল করেছে গুড্ডু। সে বড় দাড়ি রেখেছে। ওড়িশার আগে উত্তর প্রদেশের মীরাট, ঝাঁসি, রাজস্থানের আজমের, মহারাষ্ট্রের নাসিক, পুনে, এবং ছত্তীসগঢ় ও কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, প্রতিবারই সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে। উমেশ পাল হত্যা মামলায় দোষী হিসেবে মোট ১০ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে আতিক আহমেদ, তাঁর ছেলে আসাদ এবং আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গুড্ডু মুসলিম এখনও পলাতক।