শেষমেশ জীবনের ২টি মোবাইলেরই তথ্য উদ্ধার করলেন গোয়েন্দারা , মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দু’টি মোবাইলেরই তথ্য উদ্ধার হয়েছে। সেই কথা আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। বিধায়কের দু’টি মোবাইল যে জীবন্ত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তবে তার মধ্যে একটি মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হয়েছিল প্রথমে যার মধ্যে থেকে বিভিন্ন ডেটা ফাইল, অডিও রেকর্ডিং মিলেছে। আদলতে গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন দ্বিতীয় মোবাইলের তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণকে আলিপুর সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। জীবনের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তিনি আদালতে সওয়াল করেন, যত দিন যাচ্ছে, জন প্রতিনিধি হিসেবে জীবনের সম্মানহানি হচ্ছে। জামিন না হলেও যাতে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়, তারও আবেদন করেন জীবনের আইনজীবী। অর্থাৎ তিনি কেবল সিবিআই হেফাজতে যেতে চান না বলে জীবনের আইনজীবী জানান।
গতকাল সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, আগে রেকর্ড হওয়া ভয়েস ফাইল পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে জীবনের বর্তমান অবস্থায় ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করে টেস্ট করতে চান গোয়েন্দারা। অর্থাৎ জীবনকৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পল করাতে চায় সিবিআই। যদিও বিচারক স্পষ্ট করে দেন, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করে টেস্ট করতে পাঠানো যাবে না। একমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে বা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন স্যাম্পল টেস্ট করার জন্য সংগ্রহ করা যাবে। যদিও তা মানতে চাননি সিবিআই-এর আইনজীবী। তিনি ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর একটি রায়কে উল্লেখ করে বলেন, “তদন্তের স্বার্থে যে কোনও বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ভয়েস স্যাম্পল টেস্টের নির্দেশ দিতে পারেন।”
আরও পড়ুন – পার্থের আঙুল ফুলে ছিল বলেই আংটি খোলা যায়নি জানালেন জেল সুপার
রবিবার ফোনের ডেটা উদ্ধারে আসে দিল্লির ফরেন্সিক দল। তাঁরাই তথ্যের সন্ধান করছিলেন। দিল্লির ফরেন্সিক টিম সূত্রে খবর, দ্বিতীয় সেই ফোনটিরও তথ্য উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। সূত্রের খবর, জীবনের এই মোবাইলটিই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ফলে এখান থেকে আদৌ তথ্য উদ্ধার সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন খোদ গোয়েন্দারা। পরে সিবিআই জানায় যে, দু’টি ফোনের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।