কালিয়াগঞ্জ ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, ছাত্রীর দেহ বিতর্কে ৫ দিনের মাথায় ‘ভুল’ স্বীকার মুখ্যমন্ত্রীর ,কালিয়াগঞ্জে নিগৃহীত নিহত ছাত্রীর দেহ ওইভাবে টেনে হিঁচড়ে এনে ঠিক করেনি পুলিশ। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় কার্যত স্বীকার করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি এও বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হচ্ছিল, দেহ নিয়ে পালিয়ে আসতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যখন ডেড বডিটা নিয়ে যাচ্ছে, তাদের পাথর ছোড়া হচ্ছিল বড় বড়। তাদের ওইভাবে নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু নিয়ে যাবে কীভাবে, ওদের দিকে তখন পাথর ছুড়ে মারছে।”
কালিয়াগঞ্জের ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কালিয়াগঞ্জের কাণ্ডের তদন্ত হবে। পরিবারের পাশে আমরা আছি, এটা আমি আশ্বস্ত করছি। তবে বিজেপি যে তাণ্ডব করেছে… আমরা হোয়াটসঅ্যাপ পুরোটাই পেয়েছি। তাদের মধ্যে ভালবাসা ছিল। কিন্তু কাল যেভাবে বাড়িঘর পুড়িয়ে, লুঠ করে বিহারের থেকে লোক নিয়ে এসে, যে গুন্ডামি, যে জহ্লাদগিরি করেছে, এমনকি মহিলা পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে, সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়ে দিয়েছে, এটা নিয়ে স্ট্রংলি তদন্ত করতে বলব।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিকে মেয়েটার কেসটার তদন্ত হবে, আরেকদিকে যে গুন্ডামি হয়েছে, সেটার হবে। যখন ডেড বডিটা নিয়ে যাচ্ছে, তাদের পাথর ছোড়া হচ্ছিল বড় বড়। তাদের ওইভাবে নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু নিয়ে যাবে কীভাবে, ওদের দিকে তখন পাথর ছুড়ে মারছে। আমরা অল রেডি চারজনকে সাসপেন্ড করেছি। “
আরও পড়ুন – অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের অখ্যাত একটি গ্রাম। সেখানে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। যদিও প্রশাসনের বক্তব্য, বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। তা নিয়ে রাজ্য-জাতীয় কমিশনের তরজাও সপ্তমে। কিন্তু এসবের উর্ধ্বে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো প্রশ্ন তুলেছে হাজারও। যেখানে দেখা গিয়েছে, ছাত্রীর দেহ, রীতিমতো চ্যাঙদোলা করে হিঁচড়ে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মী।ঘটনাটি শনিবারের। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে রবিবার। তারও তিন দিন পেরিয়েছে। মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এক দল উন্মত্ত জনতা। সেই ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।