জেল সুপারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ, পার্থর আংটি কাণ্ডে আদালতে গৃহীত হল না ক্ষমা প্রার্থনা, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জেল হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে হাতে আংটি পরে থাকলেন? তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের কাছ থেকে। বুধবার বিশেষ ইডি আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সুপারের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় আদালত। জেল সুপারের ক্ষমা বিচারকের মন্তব্য, জেল কোড ও কারা আইন লঙ্ঘন করেছেন জেল সুপার। নিষিদ্ধ সামগ্রী জেলের ভিতরে নিয়ে যেতে বাধা দেননি। আইন অনুযায়ী সঠিক দায়িত্ব পালন করেননি প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। বিশেষ ইডি আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, আংটি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা এডিজি ও আইজি (কারা)-কে আদালতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সুপারের কর্তব্য পালনের ব্যর্থতা নিন্দাযোগ্য বলেই মনে করছে আদালত।
বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়ে জেল সুপার জানান, পার্থবাবুর তখন হাত ফোলা ছিল। কিন্তু বিচারক মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে বলেন, এমন কিছু উল্লেখ নেই সেখানে। তারপরও একবার আংটি খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে আদালতে জানান সুপার। কিন্তু সেই সময় পার্থবাবুর চিৎকারের ফলে আর তা করা হয়নি।
আরও পড়ুন – পার্থের আঙুল ফুলে ছিল বলেই আংটি খোলা যায়নি জানালেন জেল সুপার
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলের ভিতরে থেকেও কীভাবে আংটি পরে এতদিন ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইডির আইনজীবী। পার্থর এই আংটি পরাকে হাতিয়ার করে তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্ব আরও মজবুত করার চেষ্টা করেছিলেন ইডি আইনজীবী। ইডির বক্তব্য ছিল, হাতে আংটি পরে থাকা জেল কোডের পরিপন্থী। সেক্ষেত্রে এতদিন ধরে পার্থ হাতে আংটি পরে রয়েছেন জেলের ভিতরে। সেই নিয়ে পার্থর বক্তব্য ছিল, তিনি যখন জেলে ঢুকেছিলেন, তখন তাঁকে কেউ বারণ করেনি আংটি পরার জন্য। গত শুনানিপর্বে সেই কাণ্ডের পর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।