মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে 84 ইঞ্চি পটচিত্র! কি থাকবে সেই পটচিত্রে ? মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে 84 ইঞ্চি পটচিত্র! গান বাঁধা শেষ, পট আঁকার কাজে ব্যস্ত বাহাদুর, এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হচ্ছে পটচিত্র। সঙ্গে গান। আর সেই কাজটি শুরু করেছেন পিংলার পটচিত্র শিল্পী বাহাদুর চিত্রকর।কী থাকবে সেই পটচিত্রে? মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে যিনি যত ধরণের প্রকল্প তৈরি করেছেন, তা নিয়েই এই পটচিত্র। আর সেটি বানাতে শিল্পী ব্যবহার করছেন ৮৪ ইঞ্জি বাই ২২ ইঞ্জির পটচিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়া গ্রাম বিখ্যাত পটচিত্রের কারণে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ সেখানে যান। পটচিত্রের পুরনো একটি কাহিনীও রয়েছে। তা হল, এক সময় মূলত পুরাণ ভিত্তিক গান লেখা হত। তার সঙ্গে থাকতে সেই সংক্রান্ত ছবি। গ্রামে গ্রামে পট শিল্পীরা ঘুরে বেড়াতেন। ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে গান গাইতেন। আর গ্রামের মানুষ তা শুনে মুগ্ধ হয়ে চাল, আলু তুলে দিতেন তাঁদের ঝোলায়। তা নিয়ে বাড়ি ফিরতেন তাঁরা।
এখন আর সেই চিত্র গ্রামেগঞ্জে মেলে না। পটচিত্রের মধ্যেও এসেছে নতুন রূপ। পটচিত্রে আগে ব্যবহার করা হত দেশজ রং। যা তৈরি করা হল বিভিন্ন ফুল ও গাছ থেকে। এই পটচিত্রকে দেশ-বিদেশের কাছে তুলে ধরতে সরকারও বেশ কিছু পদক্ষেপ করে। ফলে শৌখিন মানুষজন বাড়ির বসার ঘর থেকে শোবার ঘরে সেই পটচিত্র রাখেন। পটচিত্র শুধু এখন আর গান ও পটের মধ্যেও আবদ্ধ নেই। সেই চিত্র ফুটে ওঠে কাঁচের গ্লাস থেকে লেডিজ ব্যাগ, এমনকী শাড়িতেও। বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রীর ওপর।
এবার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তেমনই পটচিত্রের কাজ শুরু হল। গানের ভাষায় শিল্পী লিখেছেন “ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমরা সবাই জানাই প্রণাম। ও মমতা দিদি আমরা সবাই জানাই যে প্রণাম। মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিল, অগ্নিকন্যা উপাধি পেল। দিদির প্রকল্প শুরু হলো, প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে গেল, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দিল যে প্রকল্প। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, স্কুলের ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি, কৃষকদের দিচ্ছে ক্ষতি, খুশি তো সবাই। শিল্পীদের দিচ্ছে ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার বৃদ্ধ ভাতা, ব্যবসা করলে দিচ্ছে টাকা, যে যার প্রয়োজন, রেশন দিল ঘরে ঘরে, দুয়ারে সরকার এলো ঘরে, পথশ্রী সবার দরকার, শোনো গো সবাই।” উল্লেখ্য, এর আগেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবি পটচিত্রে তুলে ধরেছিলেন তিনি। ডাক পেয়েছিলেন কলকাতায় নেতাজির জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে। এমনকি মনকি বাত অনুষ্ঠানেও উঠে এসেছিল এই গ্রামের শিল্পীদের কথা।
আরও পড়ুন – বিকেলেই ‘সন্ধ্যা’ ঘনাল শহর জুড়ে ,কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত এবং ঝোড়ো…
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই গ্রামে আয়োজন করা হয় মেলার। ইউনেস্ক থেকে প্রতিনিধি দল এসেও ঘুরে গিয়েছিলেন, বাহাদুর চিত্রকরের সাথে কথাও বলেছিলেন। যাতে বিশ্বের দরবারে এই পটচিত্র স্থান পায় সেই আর্জিও জানিয়েছেন ইউনেস্ক প্রতিনিধিদের কাছে। শিল্পী বলেন, ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে ২০১৯ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উপরে কাজ করেছিলাম জন্ম থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী যা দেখে খুব খুশি হয়ে আমাকে সূযোগ দিয়েছিলেন কুচক আওয়াজে।” এবার তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পটচিত্র বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান।



















