‘বাবা-ছেলের সম্পর্ক আলাদা করা যায় না’,মুকলকে পাশে নিয়ে বললেন তৃণমূলের শুভ্রাংশু

‘বাবা-ছেলের সম্পর্ক আলাদা করা যায় না’,মুকলকে পাশে নিয়ে বললেন তৃণমূলের শুভ্রাংশু

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

‘বাবা-ছেলের সম্পর্ক আলাদা করা যায় না’,মুকলকে পাশে নিয়ে বললেন তৃণমূলের শুভ্রাংশু , ১৭ তারিখ রাতে হঠাৎ করেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মুকুল রায়ের (Mukul Roy)। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লিতে গিয়েছেন। বাড়ির কাউকে না জানিয়েই চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। এতদিন রাজধানীতে কাটিয়ে আজ আবার বাংলায় ফিরেছেন তিনি। বাবা এতদিন পর বাড়ি ফিরে আসায় খুশি মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) রায়ও। মুকুল রায় বলছেন, তিনি কোনওদিন তৃণমূলে যোগই দেননি। তিনি এখনও বিজেপিতেই আছেন। আবার ছেলে শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক আনুগত্য ঘাসফুল শিবিরের প্রতি। তবে রাজনীতির পথ আলাদা হলেও, বাবা-ছেলের সম্পর্ক যে একইরকম রয়েছে, তা এদিন বাড়ি ফিরেই জানিয়ে দিলেন দুজনে। বাবা মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে শুভ্রাংশু বললেন, ‘বাবা-ছেলের সম্পর্ক কোনওদিন আলাদা করা যায় না। কেউ অস্বীকারও করতে পারেন না। বাবা নিজের স্বত্ত্বা নিয়ে চলবেন, আমি আমার স্বত্ত্বা নিয়ে চলব। কিন্তু বাবাকে বাবা বলেই ডাকতে হবে, আমাকেও সন্তান হিসেবে বাবাকে সেইভাবেই দেখতে হবে।’

 

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, এদিন মুকুল রায় বাড়ি ফেরার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গেই দেখা করতে হয়। দলের তো একটা মাথা থাকে। সেই মাথার সঙ্গেই দেখা করতে হয়।’ কোন দলের মাথার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি? প্রশ্ন করতেই উত্তর, ‘অমিত শাহ।’ অমিত শাহর সঙ্গে দেখা হয়েছে? প্রশ্ন করায় বললেন, ‘কথা হয়েছে। টেলিফোনে।’

 

 

 

মুকুল রায় হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন শুভ্রাংশু। বাবার শারীরিক অসুস্থতা, একগাদা ওষুধ… সেসব তিনি ঠিকঠাক খাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে বেশ উদ্বেগের মধ্যে কাটছিল শুভ্রাংশুর। সেই সময় থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে শুভ্রাংশু জানালেন, ‘অভিযোগ সেদিনই তুলে নেওয়া হয়েছে, যেহেতু বাবা বলেছেন নিজের ইচ্ছায় গিয়েছেন। বাবা যেহেতু কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন, সেই কারণেই আমি পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম।’

 

 

 

 

আরও পড়ুন – মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে, জারি নাইট কারফিউ

 

 

 

তবে এবার বাবা বাড়ি ফিরে আসায় খুশি শুভ্রাংশু। বললেন, ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক দল বা দলীয় কর্মী… সবকিছুর ঊর্ধ্বে। বাবা ফিরে আসায় খুব ভাল লাগছে। মা নেই। মাথার উপরে কেউ নেই। বাবা পাশে থাকলে সত্যিই ভাল লাগবে। কারণ, অভিভাবক হিসেবে আমার মাথার উপরে তো কেউ নেই। ভাই-বোনও কেউ নেই।‘ রায়সাহেবও এতিদন পর বাড়ি ফেরার পর বেশ খুশি। বললেন, ‘বাড়িতে ফিরেছে, স্বস্তি থাকবে না কেন?’

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top