বদলে দেওয়া হোক পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম, দাবি জিতেন্দ্র তিওয়ারির, ২০১৭ সালে ভাগ করা হয়েছিল বর্ধমান জেলা। পাঁচ বছর পর সেই নব্য জেলার নাম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা তথায় আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম আসানসোল-দুর্গাপুর করা উচিত। এই অঞ্চলের মানুষকে তৃণমূল সরকার মর্যাদা দেয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, জেলা ভাগের পর ৫ বছর কেটে গেলেও অনেক প্রশাসনিক দফতরেরই আলাদা অফিস তৈরি হয়নি। এতে বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর ৩১ নম্বর বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় এই প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছেন জিতেন্দ্র। রাজ্যের ২৩ তম জেলা পশ্চিম বর্ধমান নামের পরিবর্তে আসানসোল-দুর্গাপুর জেলা করার দাবি তোলেন পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জেলা ভাগ হলে, সবকিছু নতুন করে তৈরি করতে সময় লাগে। তাই আমরা এতদিন পর প্রশ্ন তুলছি। আমরা মূলত আসানসোল-দুর্গাপুরকে আলাদা জেলা করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কলকাতার নেতারা এই নাম দুটো মুছে দিতে চাইছে। কমিশনারেটের নাম আসানসোল-দুর্গাপুর, পুরনিগমের নাম আসানসোল-দুর্গাপুর, উন্নয়ন পর্ষদের নামও আসানসোল-দুর্গাপুরের নামে। তা সত্ত্বেও কেন জেলার নাম পশ্চিম বর্ধমান করা হল?’
অন্যদিকে তৃণমূল এই ইস্যুকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যখন জেলার নাম ঘোষণা হয় তখন একই মঞ্চে জিতেন্দ্র তিওয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই ছিলেন। তৃণমূল নেতার মতে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে যখন আছে তখন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান হবে, এটাই স্বাভাবিক। নজরে আসতে বিজেপি এসব কথা বলছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন – এই মাস থেকেই কি হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হচ্ছে ?
এদিন বিজেপির কার্যালয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাশে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত সহ বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নতুন ইস্যু নিয়ে বিজেপি আন্দোলনে নামবে, বলেও দাবি করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।