হাইকোর্টে বড় ‘জয়’ DA আন্দোলনকারীদের, নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের, রুট পরিবর্তন করে নবান্নে অভিযানে অনুমতি। সরকারি কর্মীদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে সায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ফেরিঘাট থেকে বঙ্কিম সেতু, ডিএম স্লোপ, এম জি রোড, হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠন। অর্থাৎ যে পথে অভিযান করবেন বলে ভেবেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা, সেই পথে নবান্নে যেতে পারবেন না তাঁরা। ডিএ-এর দাবিতে আগামী ৪ তারিখ নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে সওয়াল জবারে সময়ে প্রথম থেকেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। বিচারপতি জানতে চান, মিছিলে অনুমতি দিতে আপত্তি কোথায়? রাজ্য জানায়, যে রুটে মিছিল করার কথা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা। দুপুর আড়াইটে স্কুল ছুটি হয়৷ ওই রুট ট্রাফিক সমস্যা। রাজ্য অন্য জায়গা দিতে আগ্রহী। কেউ শুধু একটা জায়গার দাবি করতে পারে না।
বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “সবার জন্য আইন এক হওয়া উচিৎ। যখন কোন মিছিলে শহর স্তব্ধ হয়ে যায়, তখন কেউ কিছুই বলে না। পুলিশ কি মাঝে মাঝে বেশি উল্লসিত হয়?” মামলাকারীদের আইনজীবীর তরফে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রশাসনিক ভবনকে কোনভাবে বিরক্তকরা হবে না।”
এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘‘আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাবে। হাওড়ার ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিল।’’
এদিনের শুনানির প্রথমার্ধে বিচারপতির কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ
১. “বিরোধিতা করা বা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।” ২. “আসলে আন্দোলনকারীরা তো দেখাতে চান যে তারা কতটা অসুবিধের মধ্যে রয়েছেন।”
৩. “শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে অসুবিধা কোথায়?”
আরও পড়ুন – বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা! ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন,চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম
রাজ্যের তরফে বলা হয়, যে রুট বলা হচ্ছে, তাতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজভবন, হাইকোর্ট ও প্রসাসনিক ভবন রয়েছে। এখানে অতিরিক্ত জায়গাও নেই। এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্য কি শাসকদলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থান নেবে? একই দিনে আরেকটি মিছিলে একটা রাস্তা বন্ধ হয়েছিল।