কালীঘাটে কেন এসেছিল বাস? শুভেন্দুর প্রশ্নে আদালতে রিপোর্ট পেশ কলকাতা পুলিশের ,কালীঘাটে একটি বাসকে কেন নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই টুইটের পর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে কলকাতা পুলিশ। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। মুখ্য বিচারকের ঘরে এদিন মামলার শুনানি হয়। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এদিন একটি রিপোর্ট পেশ করে। বাসটি কেন কলকাতায় এসেছিল, তাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি রাজনৈতিক ক্যাম্পেনের জন্য আনা হচ্ছিল। একজন নেতা জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর ব্যবহারের জন্য বাসটি আনা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ ওই জায়গায় ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিল।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়। নাম না করে সম্পত্তি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্যের জেরে মামলা করেছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশি নিরাপত্তায় বাসে করে টাকা পাচার চলছে। গত ১৭ এপ্রিল একটি ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু এই দাবি করেছিলেন। বাসের নম্বর উল্লেখ করে তিনি লিখেছিলেন, বাসটিকে কালীঘাটে ঢুকতে ও বেরতে দেখা যায়। কলকাতা পুলিশের কর্মীরা কেন বাসটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছিলেন, সে ব্যাপারে বিনীত গোয়েলের কাছে ব্যাখ্যা চান তিনি। শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, কারও অফিস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি বা কয়লা কেলেঙ্কারির টাকা সরানো হয়ে থাকতে পারে ওই বাসে।
আরও পড়ুন – তিহাড়ের পাশাপাশি সেলে রয়েছেন পিতা-কন্যা, শনিবার কথা হতে পারে অনুব্রত-সুকন্যার
শুভেন্দুর এই টুইটের পর কলকাতা পুলিশ ও পুলিশ কমিশনারের মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিচার ভবনের মুখ্য বিচারকের ঘরে শুনানি হয়েছে। সরকারি আইনজীবী এই মামলার অভিযোগকারী। এদিন আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জমা দেওয়া হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজও।