নিয়ম না মেনেই নিয়োগ! নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের ,বন সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা রাজ্যের। বন সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন করে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একক বেঞ্চ। ২০২০ সালে বন সহায়ক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। বেশ কিছু আইন না মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, এসএমএস-এর মাধ্যমে চাকরিপ্রাপকদের জানানোর যে সিদ্ধান্ত ২০২০ সালে রাজ্যের তরফে নেওয়া হয়েছিল, সেটি ঠিক নয়। পরবর্তী সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া আইন মোতাবেক করতে হবে। যে ওয়েবসাইটে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেই ওয়েবসাইটেই নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। জানা যাচ্ছে, প্রায় দুই হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এবং আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন মামলাকারী। প্রথমত, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে এসএমএস করে চাকরি পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। সেই কারণে এখানে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি আরটিআই-এর ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পেরেছেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর যথেষ্ট অথচ নিয়োগ পাননি। এদিকে যোগ্যতা বহির্ভূত ভাবে, অর্থাৎ কেউ কম নম্বর পেয়েও আবার কেউ বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ পেয়েছেন।
এদিকে ওই নিয়োগের মেয়াদ ছিল এক বছরের। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই চাকরির মেয়াদ বাড়নো হয়। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পদ্ধতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘চাপ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিচারপতির,সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা বাড়ছে,
উল্লেখ্য, এই বন সহায়ক কোনও স্থায়ী পদ নয়। ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের তরফে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২ হাজার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। প্রেসিডেন্সি (কলকাতা), মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, জলপাইগুড়ি- এই পাঁচটি প্রশাসনিক ডিভিশনে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বয়সসীমা ছিল ১৮-৪০ বছর এবং সরকারি নিয়মে যেমন বয়সের ছাড় থাকে, সেটিও প্রযোজ্য ছিল।