সোনার খনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে মৃত্যু ২৭ শ্রমিকের ,সোনার খনিতে (Gold mine) অগ্নিকাণ্ড। সেই আগুনে (Fire) খনির ভিতরেই মৃত্যু হল কমপক্ষে ২৭ শ্রমিকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পেরুর (South Peru) প্রত্যন্ত এলাকায়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, সকলের দেহ উদ্ধার হয়নি। খনির সামনেই সারাক্ষণ ভিড় করে নিকটাত্মীয়ের খোঁজ করছেন ওই শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। দক্ষিণ আমেরিকার (South America) দেশগুলির সাম্প্রতিক ইতিহাসে পেরুর সোনার খনিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খনি ট্রাজেডিগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ (Worst mine tragedy) বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রুপো, তামা, জিঙ্ক সহ অন্যান্য খনিজে সমৃদ্ধ পেরু। এই সমস্ত ধাতু উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে পেরু। ফলে এদেশে একাধিক বেআইনি খনি রয়েছে। দেশের মোট GDP-র ৮ শতাংশের বেশি আসে খনি থেকে। তবে প্রায় প্রতি বছরই একাধিক খনি দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসে। গত বছরই পেরুতে এক খনি দুর্ঘটনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আবার ২০২০ সালে আরেকুইপা শহরে একটি খনির দেওয়াল ধসে পড়ায় সুড়ঙ্গে বন্দি হয়ে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দিন দুয়েক আগে আরেকুইপা শহরের যে খনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে, সেটি অবৈধ খনি নয়। আরেকুইপা শহরের বৈধ খনি ছিল এটি। বিগত ২৩ বছর ধরে খনিটি পরিচালনা করছে মিনেরা ইয়ানাকুইহুয়া।
আরও পড়ুন – প্রয়াত ‘কালবেলা’র স্রষ্ঠা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার,
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেরুর আরেকুইপা শহর থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা গাড়িপথের দূরত্বে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোনার একটি খনির ভিতরে আগুন লাগে। তখন খনির প্রায় ১০০ মিটার গভীরে সোনা উত্তোলনের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। যদিও ঠিক কতজন শ্রমিক সেই সময় খনির ভিতরে কাজ করছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ২৭ জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আগুনে দগ্ধ হয়ে বা শ্বাসরোধ হয়েই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে মেয়র জানিয়েছেন। সুড়ঙ্গের ভিতর শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি গত শনিবার ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রবিবার খবরটি প্রকাশ্যে এনেছে।