দলীয় পদ গেল সাগরদিঘির ভোটে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিসের,তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ মুর্শিদাবাদ ছাড়তেই দলীয় পদ খোয়ালেন সাগরদিঘি উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয়ও বটে। গত সোমবার সাগরদিঘি ঘুরে বীরভূমে গিয়েছেন ‘জনসংযোগ যাত্রা’য় বেরোনো অভিষেক। তার এক দিন পরেই ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরানো হল দেবাশিসকে। তাঁর জায়গায় নতুন ব্লক সভাপতি হয়েছে শামসুল হুদা।
দলবিরোধী কাজের জন্য এক সময়ে দলীয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেবাশিসকে বহিষ্কার করেছিলেন দলনেত্রী মমতা। পরে অবশ্য দেবাশিস দলে ফিরে আসেন। পেয়েছিলেন দলীয় পদ। তাঁকে সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থীও করে তৃণমূল। দেবাশিস সম্পর্কে মমতার আত্মীয় হন। মমতার মা গায়ত্রী দেবী সম্পর্কে পিসতুতো দিদি হতেন দেবাশিসের বাবা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাগরদিঘিতে সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে তিনি মাঝেমধ্যে সাগরদিঘির এই বাড়িতে আসতেন। যদিও দেবাশিসকে প্রার্থী করা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ দলের অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকেই বিষয়টি নিয়ে নিয়ে সরব হন। প্রশ্ন উঠেছিল দেবাশিসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই। এ বার তাঁর ‘ডানা ছাঁটা’ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – বিশ্বভারতী পেতে চলেছে নতুন তকমা! জানিয়ে দিলেন মোদীর মন্ত্রী,
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই রদবদলের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান এবং চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল। খলিলুর জানান, নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। তবে দেবাশিসকে জেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন খলিলুর। এ বিষয়ে দেবাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি বলেন, ‘‘দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে, মাথা পেতে নিয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলব না।’’
(সব খবর , ঠিক খুব , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )