এক সপ্তাহের ট্রেনিংয়েই থানায় পোস্টিং! পুলিশ প্রশিক্ষণের নয়া ‘সিস্টেম’ মমতার , রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের (West Bengal Police) উপর যে হারে চাপ বাড়ছে, সেই তুলনায় পুলিশকর্মীদের সংখ্যা নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতমাসে এক বেসরকারি সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট ২০২২’। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের কনস্টেবল পদে ৪৪ শতাংশ পদ খালি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) সাম্প্রতিককালে জেলা সফরে গিয়ে ঘোষণা করে এসেছেন, যে সিভিক ভলান্টিয়াররা ভাল কাজ করেছেন, তাঁদের পুলিশের চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে। কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পদ সিভিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল। আর এবার রাজ্যে পুলিশের যা যা নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে রয়েছে, সেগুলি তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। এদিন নবান্ন সভাঘরের বৈঠক থেকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে থাকা নিয়ে যে বেশ অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী, সেই কথাও এদিন উঠে আসে তাঁর মুখে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘হাজার হাজার নিয়োগের জন্য পড়ে রয়েছে। কিন্তু একটা ল্যাথার্জি ও ক্যাজুয়ালনেস চলে এসেছে – আজ করছি, কাল করছি মনোভাব। কারণ, যিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ করছেন, তাঁর কিছু যায়-আসে না। কিন্তু যে ছেলে-মেয়েগুলি পরীক্ষা দেন, তাঁরা তো আশায় থাকে চাকরিটা কবে হবে।’
আরও পড়ুন – প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা ফেরাতে রাজ্য সময় বেঁধে দিল প্রধান বিচারপতির…
একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন থানাগুলিতে যাতে পুলিশের লোকবল আরও বাড়ানো যায়, তার জন্যও পরামর্শ দিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে পুলিশের নিয়োগের পরে প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতেও কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা বললেন তিনি। প্রথমে সাতদিনের প্রশিক্ষণ দিয়েই কোনও একটি থানায় সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীকে পাঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ মমতার (Mamata Banerjee) । মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এতে ওই থানায় ফোর্স বাড়বে। বললেন, ‘এতদিন ৬ মাস ধরে, ৩ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এখন সাতদিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাঁদের এক-একটি থানায় পাঠান। সেখানে ফোর্স বাড়ান। এরপর যখন ফিল্ড ট্রেনিং দেওয়া হবে, তখন সাতদিন করে অন্যান্য ট্রেনিং দেওয়া হোক। মাসের মধ্যে ২১ দিন ফিল্ডে কাজ করানো হোক এবং সাতদিন অন্যান্য বাকি ট্রেনিং করান।’