মেয়ের চাকরিটাই পেয়েছিল ববিতা,হাইকোর্টের নির্দেশের পর চাকরি হারালো ববিতা, কী বলছেন পরেশ? আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ববিতা সরকারের (Babita Sarkar)। হাইকোর্টই একদিন ববিতাকে চাকরির নির্দেশ দিয়েছিল। পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) চাকরি বাতিল করে সেই চাকরি দেওয়া হয়েছিল ববিতাকে। আদালতের নির্দেশে একদিন চাকরি হারিয়েছিলেন অঙ্কিতা। আর অঙ্কিতার চাকরির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া ববিতাও আজ চাকরি হারালেন। আদালতের এই নির্দেশকে কীভাবে দেখছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকা (Paresh Adhikari)? কারণ, তিনি তো শুধু একজন রাজনীতিক নন, একজন বাবাও বটে। যদিও পরেশবাবু বলছেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। আইনের মধ্য দিয়ে যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটিকেই মান্যতা দিতে হবে।’ একইসঙ্গে পরেশ অধিকারী এও জানালেন, এই বিষয়টি নিয়ে ‘খুশি হওয়া বা অখুশি হওয়ার কিছু নেই’। তাঁর মতে, আইন আইনের পথে চলছে, সেটাই আদালতের নির্দেশে প্রমাণিত হল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করার পর শিক্ষিকা হয়েছিলেন ববিতা। কাজে যোগও দিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন দাবিদার উঠে আসে ওই চাকরির। শিলিগুড়ির অনামিকা রায় দাবি করেন, ওই চাকরি আসলে তাঁরই পাওয়ার কথা। সেই মর্মে আদালতে মামলা করেন তিনি। দীর্ঘদিন সেই মামলার শুনানির পর শেষে মঙ্গলবার আদালত ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া যে টাকা ববিতার কাছে গচ্ছিত ছিল, সেই টাকাও আদালতের কাছে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তিতে
তাহলে কি এবার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি ফেরতের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন পরেশবাবু? কারণ, অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করেই সেই চাকরি দেওয়া হয়েছিল ববিতাকে। যদিও পরেশবাবু বলছেন, ‘এখনও এই বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করা হয়নি। এই বিষয়গুলি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।’