এগরা বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্তের, পাল্টা কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী? এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা) তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্ত নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। ওই তদন্তে কেউ বিচার পেলে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি যে বিজেপি নেতাদের একটা ‘ফর্মুলা’, সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওই ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম সাত জন। এই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্তের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি চলছিল। ঘটনার এনআইএ তদন্ত হোক।’’ মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন এ নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। মমতার কথায়, ‘‘আমার বন্ধুরা, যারা এনআইএ এনআইএ করে চিৎকার করছে, আমার কোনও আপত্তি নেই। কারণ আমাদের কেউ এ বিষয়ে জড়িত নয়। যদি সত্যিই কেউ এনআইএ তদন্ত করলে বিচার পান, চাক না।’’
এর আগে কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা গণধর্ষণ, রামনবমীর অশান্তি-সহ একাধিক ঘটনায় বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। এ বার এগরার ঘটনাতেও এনআইএর তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। তবে এই প্রথম মমতা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, তাঁর আপত্তি নেই। তবে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘‘এটা ওই নেতাদের ফর্মুলা’’।
বিজেপি যদিও এ সবে দমেনি। সুকান্ত দাবি করেছেন, ভারতের কোনও রাজ্যে এই ঘটনা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা রাজ্যে বোমা-বন্দুকের কারখানা গড়েছে তৃণমূল। এটাই পশ্চিমবঙ্গের শিল্প। মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জাও নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন – নতুন নির্দেশ প্রকাশ্যে আসতেই ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ফের সরব! বাস তুলে নেওয়ার…
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরু করেছে। সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তার পরেও এনআইএ তদন্ত করলে তাঁর সমস্যা নেই। তবে একটি শর্ত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এনআইএ তদন্ত করলেও যেন আসল দোষী ধরা পড়ে। কী করে কারখানার মালিক জামিন পেল, কী করে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা নতুন করে খুলল, দেখতে হবে। এ বিষয়ে দ্বিমতের ব্যাপার নেই।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই বাজি কারখানার মালিককে ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। কী ভাবে জামিন পেলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা।