প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপালের সহযোগীর বাড়িতেও গেল CBI , বিমা মামলায় জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) ৯ জায়গায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যে তল্লাশি চলেছে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের (Satyapal Malik) সহযোগীর বাড়িতেও। এই খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে উপত্যকার প্রশাসনিক মহলে। এদিন সকাল থেকেই আচমকা রাজ্যের নানা প্রান্তে তল্লাশি শুরু করে সিবিআইয়ের একাধিক দল। প্রসঙ্গত, এর আগে ২৮ এপ্রিল সত্যপাল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI Raid)। ২০১৮ সালের ২৩ অগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জম্ম-কাশ্মীরের রাজ্যপালের পদে ছিলেন তিনি। এর আগে বিহার, গোয়া ও মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি।
এমনকী এও জানিয়েছিলেন যখন বিমা প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল তখন এর ভিতরের অনেক কিছুই তিনি জানতেন না। এমমকী যে চুক্তি হয়েছিল তাতেও প্রতারণা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি বুঝতে পারেন এখানে বেনিয়ম হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি নিজেই ফাইলগুলি দেখেছিলাম। চুক্তিটি তাদের ভুলভাবে দেওয়া হয়েছে দেখে, আমি এটি বাতিল করে দিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, এই বিমা প্রকল্পে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কর্মচারীকে বিমার সুরক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চালু হয় এই প্রকল্প। কিন্তু, এক মাসের মধ্যে তা বাতিল করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজেই। প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২২ সালেও সত্যপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন – সরকারি কর্মচারীদের সুখবর, ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা যোগী সরকারের
২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন সত্যপালের সময় বেশ কিছু কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। শিল্পপতি অনিল অম্বানির মালিকানাধীন সংস্থা, রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের একটি চুক্তি বাতিল করেছিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। যা নিয়ে বাড়ছিল চাপানউতর। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মীদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য একটি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প চালু কর হয়েছিল, সেখানেই রয়েছে বেশ কিছু গোলযোগ। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে ট্রিনিটি রিইন্স্যুরেন্স ব্রোকার্স এবং রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির প্রথম অভিযোগ করেছিলেন সত্যপাল নিজেই।