কলকাতায় এবার গঙ্গা আরতি শেষে বিতরণ করা হবে ভোগ। কবে, কোথায় মিলবে ভোগ ? বারাণসী, হরিদ্বারের আদলে কলকাতায় ঘাটে ঘাটে সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। এবার মা গঙ্গার আরতি শেষে রয়েছে ভোগেরও ব্যবস্থা । কলকাতার এক ঘাটে ইতিমধ্যেই আরতি শেষে ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতি সন্ধেয় গঙ্গা আরতি দেখতে ভিড় করেন প্রচুর সাধারণ মানুষ ও পর্যটকেরা। এবার আরতি দেখতে আসা ভক্তদের জন্য ভোগের ব্যবস্থার সম্প্রতি এই সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বলে খবর।
চলতি বছরের ২ মার্চ থেকেই বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছে এই গঙ্গা আরতি। এর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গা আরতির উদ্যোক্তা ও আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে যে ট্রাস্ট, তারাই এই ভোগ বিতরণের আয়োজন করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই অভিনব উদ্যোগে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে পুরসভাও।
মোট ১১ জন পূজারী একসঙ্গে পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে গঙ্গা আরতি করেন। গঙ্গা পুজো ও আরতির জন্য কলকাতা পুরসভা প্রদত্ত প্রদীপ, চামর, শঙ্খ, ঘণ্টা, ধুনোদানি ব্যবহৃত হয়। গঙ্গার ধারে আরতি দেখার জন্য সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য লোহার পাটাতন বানানো হয়েছে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। এছাড়া বারাণসীর ধাঁচে বজরায় আরতি দর্শনের মতো কলকাতায় লঞ্চে বসে আরতি দর্শনের ব্যবস্থা করার ভাবনাও রয়েছে পরিবহন দফতরের মাথায়।
বাজেকদমতলায় কখন হয় গঙ্গা আরতি?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মতো শীতকাল সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এবং গরমকালে সন্ধ্যা ৭টার সময় বাজে কদমতলা ঘাটে অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা আরতি। প্রতিদিনই হয় এই আরতি। তবে শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর সময় ভাসানের জন্য কয়েকদিন বন্ধ থাকে এই গঙ্গা আরতি।
ভোগের মেনু?
জানা গিয়েছে, আরতি শেষে দেওয়া গঙ্গা ভোগের মেনুতে থাকছে খিচুড়ি ও লাবড়া। আপাতত প্রতিদিন নয়, শুধুমাত্র শনিবার করেই কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে এই খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন – শুভেন্দুর কনভয় থামিয়ে ‘দৃষ্টি আকর্ষণ’ কুড়মি আন্দোলনকারীদের, কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনা শুভেন্দুর
পুরসভা সূত্রে জানা গেল, অন্যান্য দিনের থেকে শনিবার ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখতে বেশি ভিড় হয়, তাই ওইদিনই গঙ্গা ভোগ বিতরণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আপাতত খিচুড়ি ভোগ ও লাবড়া রান্নার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় ১০০ কেজি চাল, ৫০ কেজি ডাল, প্রায় ৫ কেজি ঘি, সবজি ও প্রচুর পরিমাণে কাজু, কিশমিশ।