বিজেপি বিধায়কদের কাছে চাওয়া হল লক্ষ লক্ষ টাকা, জেপি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কদের প্রতারণার চেষ্টা,“জেপি নাড্ডার ব্যক্তিগত সহকারি বলছি।” ফোনের ওই প্রান্ত থেকে এটাই বলা হয়েছিল। তারপর দেওয়া হয়েছিল মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব। এর জন্য তাদের কিছু অর্থ দিতে বলা হয়েছিল, যে অর্থ গুজরাটে বিজেপির এক বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই প্রস্তাব দিয়েই মহারাষ্ট্রের অন্তত ৪ থেকে ৫ জন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করেছিল গুজরাটের মোরবির বাসিন্দা নীরজ সিং রাঠোড়। প্রতারণার মুখে পড়া এক বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে, বৃহস্পকিবার তাকে গ্রেফতার করেছে নাগপুর পুলিশ।
বিজেপি বিধায়ক বিকাশ কুম্ভরে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসে। বিকাশ কুম্ভরের অভিযোগ, তার সঙ্গে কমপক্ষে চারবার যোগাযোগ করেছিলেন নীরজ। তাঁকে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। নাগপুর পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বিনোদ পাতিল বলেছেন, “আমরা বিধায়ক বিকাশ কুম্ভরের ব্যক্তিগত সহকারির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাতে বলা হয়েছে, নীরজ সিং রাঠোড় বিধায়ককে ৫-৬ বার ফোন করেছিলেন। গুজরাটে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য তহবিল চেয়েছিলেন।” বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে, নাগপুরের কোতোয়ালি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় কোনও ব্যক্তির নাম করে প্রতারণা, প্রতারণা এবং অসাধুভাবে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচনা দেওয়া-সহ প্রাসঙ্গিত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – কড়া নিরাপত্তার মোড়কে কাশ্মীর, আসন্ন জি-২০ বৈঠকে নাশকতার আশঙ্কা কাশ্মীরে
পুলিশ জানিয়েছে, নীরজ সিং রাঠোড় মহারাষ্ট্রের মোট চারজন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল – বিকাশ কুম্ভরে, টেকচাঁদ সাভারকর, তানাজি মুটকুলে এবং নারায়ণ কুচে। তাঁদের প্রত্যেককেই সে মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রিসভায় পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ব্যক্তিগত সহকারির ভান করে তিনি ওই চার বিজেপি বিধায়কের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। পরবর্তী মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় এই বিধায়কদের মন্ত্রী করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অভিযুক্ত নীরজ সিং ওই বিধায়কদের এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছিল। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ হুবহু জেপি নাড্ডার মতো ছিল।