অভাবের তাড়নায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করল এক পরিযায়ী শ্রমিক

অভাবের তাড়নায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করল এক পরিযায়ী শ্রমিক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

উত্তর দিনাজপুর: লকডাউনে ফিরে এসে গ্রামে কোনও কাজ না পায়ে অভাবের তাড়নায় মানসিক অবসাদে ভুগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল এক পরিযায়ী শ্রমিক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের ইটাহার গ্রামপঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর গ্রামে। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম জয়নাল আলি ( ৫০) । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। পরিযায়ী শ্রমিকের এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইটাহারের গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার গ্রামপঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আলি হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। তার ছেলে হাসিরুদ্দিনও পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিনরাজ্যে কাজ করতেন। আচমকাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় লকডাউন। বন্ধ হয়ে যায় হরিয়ানা সহ বিভিন্ন ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ। জমানো কিছু টাকা দিয়ে হরিয়ানাতে নিজের পেট চালানোর পর পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেনের ব্যাবস্থা হলে জয়নাল ও তাঁর ছেলে ফিরে আসে ইটাহারে তাঁর নিজের বাড়ি সুবর্ণপুরে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গ্রামেই কাজের ব্যাবস্থার কথা রাজ্য সরকার ঘোষনা করলেও কিন্তু এখানে এসেও জয়নাল বা তাঁর ছেলে হাসিরুদ্দিন কেউই আর কোনও কাজ পায়নি। চেয়ে চিন্তে ধার বাকি করে কিছুদিন সংসার প্রতিপালন করলেও অভাব অনটন দিনে দিনে বাড়তে থাকে তাঁদের। স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছিল তাঁর। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন জয়নাল আলি। বুধবার বিকেলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। বিষপান করে আত্মঘাতী হন জয়নাল। মূলত অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তিনি এমনটাই ধারনা তাঁর আত্মীয় পরিজনদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top