‘‘কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া সংলগ্ন একাধিক রাস্তার ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে, সরব শাসক দলের পুরপ্রতিনিধি , শহরে ফুটপাত দখল হওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। ফুটপাতে হকার নিয়ন্ত্রণে ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’ গঠিত হলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যেই শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে শাসক দলেরই এক পুরপ্রতিনিধি বইপাড়ার একাধিক রাস্তার ফুটপাত দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
পুরসভার কাছে সুপর্ণার প্রস্তাব, ‘‘বছর কয়েক আগে প্রেসিডেন্সি কলেজ সংলগ্ন ফুটপাতে বইয়ের স্টলগুলিকে যেমন নির্দিষ্ট পরিমাপ করে দেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে হিন্দু স্কুলের সামনের দোকানগুলিকে প্লাস্টিকের ছাউনিমুক্ত করে সুন্দর রূপ দেওয়া হোক।’’
পাশাপাশি, প্লাস্টিক ও ত্রিপলের ছাউনি ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সুপর্ণার অভিযোগ, ‘‘প্লাস্টিকের ছাউনির উপরে বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গির মশার লার্ভা মিলেছে। প্লাস্টিক, ত্রিপলে বিপদ অনেক। অবিলম্বে পুরসভা হকার নিয়ন্ত্রণ করে স্টলগুলি সুন্দর ভাবে সাজাক।’’ এর উত্তরে মেয়র পারিষদ (হকার পুনর্বাসন) দেবাশিস কুমার জানান, পুরপ্রতিনিধির প্রস্তাব কার্যকর করতে টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে পেশকরা হবে।
আরও পড়ুন – ‘পাঁচ মাসের মধ্যে পড়বে তৃণমূলের সরকার’! শান্তনু ঠাকুর হুঁশিয়ারির সুরে সুর মেলালেন…
শনিবার অধিবেশনে উত্তর কলকাতার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি সুপর্ণা দত্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘‘কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া সংলগ্ন একাধিক রাস্তার ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে। মানুষ প্রাণ হাতে করে মূল রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন।’’ তিনি আরও জানান, কলেজ স্ট্রিটই শুধু নয়, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বড় অংশও এ ভাবে দখল হয়েছে। হিন্দু স্কুলের ফুটপাতও পুরোপুরি বইয়ের স্টলে দখলে। তাঁর অভিযোগ, লোহার স্থায়ী কাঠামো করে হকারেরা কলেজ স্ট্রিট মোড় সংলগ্ন ফুটপাত চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছেন। একাধিক বার পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের দল গিয়ে অনুরোধ করা সত্ত্বেও হকারদের নিয়ম মানতে বাধ্য করা যায়নি।
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)