পয়লা বৈশাখে উপহার পেতে চলেছে শহর কলকাতা ,কবে প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী? আগামী ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। তাই তার আগেই এই প্রেক্ষাগৃহের দ্বারোদ্ঘাটন করতে চেয়েছিল পূর্ত দফতর। সব ঠিকঠাক চললে আগামী ১৩ এপ্রিল নতুন এই প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। তার আগেই এই প্রেক্ষাগৃহের দ্বারোদ্ঘাটন করতে চেয়েছিল পূর্ত দফতর। প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কাছে উদ্বোধনের সময় চেয়েছিল তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর উদ্বোধনের জন্য সময় বরাদ্দ করায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শেষ পর্যায়ের কাজও সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই ছ’তলা প্রেক্ষাগৃহে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রেক্ষাগৃহটি লম্বায় ৫১০ ফুট ও চওড়ায় ২১০ ফুট। প্রেক্ষাগৃহটি তৈরি হয়েছে শঙ্খের ধাঁচে। ছয়তলার এই প্রেক্ষাগৃহে রয়েছে ২ হাজার আসন বিশিষ্ট একটি সভাঘর। সঙ্গে রয়েছে ৫৪০ সিটের আরও একটি সভাগৃহও। ৩০০ মানুষ বসার একটি ‘স্ট্রিট থিয়েটার’ও রয়েছে। এ ছাড়া সবরকম অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত নতুন এই প্রেক্ষাগৃহে থাকবে পৃথক পৃথক বিভাগ। অনুষ্ঠান করার জন্য ব্যাঙ্কোয়েট, ফুড পার্কের ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রেক্ষাগৃহের নীচের তলায় দু’টি ভাগে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত। দু’টি ভাগে ২৫০টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে।
আরও পড়ুন – কুড়মি আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ বললেন ‘সরকার কারোর সঙ্গেই কোনও আলোচনা…
যদিও শিলান্যাসের সময়ই এই প্রেক্ষাগৃহের নাম ‘ধনধান্য’ রাখার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরে এই নতুন প্রেক্ষাগৃহটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর। প্রেক্ষাগৃহটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। পূর্ত দফতর এই অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহটি তৈরি করলেও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিডকোকে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকায় তৈরি হয়েছে এই প্রেক্ষাগৃহটি।