কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ অভিষেকের,সাগরদিঘির উপনির্বাচনে (Sagardighi By-election) শাসককে হারিয়ে জয় পেয়েছে কংগ্রেস (Congress)। বিধায়ক হয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। পঞ্চায়েতের আগে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের এই ফলাফল স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি দিয়েছে কংগ্রেস শিবিরকে। তবে তৃণমূল বার বার বুঝিয়ে দিয়েছে, একটি উপনির্বাচন থেকে সামগ্রিক মতামত কখনও বোঝা যায় না। জনসংযোগ যাত্রায় এসে এদিন রানিনগরের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) মুখে আবারও উঠে এল সাগরদিঘির প্রসঙ্গ। কংগ্রেস-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে বললেন, ‘সাগরদিঘি হওয়ার পর বিজেপি নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে। আমি বলে গিয়েছিলাম সাগরদিঘিতে এসে যে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া আর বিজেপিকে ভোট দেওয়া একই বিষয়। কংগ্রেসের প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির নেতাদের ছবিও আমি প্রকাশ্যে দেখিয়ে গিয়েছিলাম। তাও মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে।’
একইসঙ্গে বার্তা দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের উদ্দেশেও। সাগরদিঘির উন্নয়নের দিকে যাতে বাইরন নজর দেন, রানিনগরের সভা থেকে সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন অভিষেক। বললেন, ‘তাঁর তরফে যদি কোনওরকম অসহযোগিতা হয়, তিনি বিধানসভায় যান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। কেউ বারণ করছে না। আমরা যেখানে জিতেছি, সেখানেও পরিষেবা দিয়েছি। যেখানে পরাজিত হয়েছি সেখানেও পরিষেবা দিয়েছি।’
সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে জেতানোয় এলাকাবাসীর যে আলাদা করে কোনও সুবিধা হয়নি, সেটাও এদিনের সভা থেকে বোঝানোর চেষ্টা করেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল যেখানে জেতে সেখানেও উন্নয়ন করে, যেখানে জিততে পারে না সেখানেও উন্নয়ন করে। সেই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের কথাও তুলে আনেন তিনি। সেখানে পাঁচটির মধ্যে একটি আসনও তৃণমূলের হাতে নেই। কিন্তু সেখানেও জেলার প্রতিটি মানুষ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন বলে জানান অভিষেক। বললেন, ‘জাতি-দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’
আরও পড়ুন – লাহোরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের প্রধান পরমজিৎ,
মানুষের রায় মেনে নিয়েও অভিষেক বললেন, ‘আপনারা অস্বীকার করতে পারবেন না, সাগরদিঘিতে বাইরন বিশ্বাস জেতার পরে বিজেপি অক্সিজেন পেয়েছে, তাদের হাত শক্তিশালী হয়েছে। যদি কংগ্রেস হেরে তৃণমূল জিতত, তাহলে এদের খুঁজে পাওয়া যেত না। ধর্মের নামে উস্কানি দিয়ে চারিদিকে আবার এনআরসি-এনআরসি পরিবেশ তৈরি করছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, যতদিন মা-মাটি-মানুষের সরকার আছে, বাংলায় এনআরসি’র এন আমরা হতে দেব না। আমি বুক ঠুকে বলে যাচ্ছি। এনআরসি-র প্রশ্নই ওঠে না