রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলে, প্রধানমন্ত্রী কিংবা শুভেন্দুর কেন নয়? শহিদ মিনার থেকে প্রশ্ন করলেন অভিষেক

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলে, প্রধানমন্ত্রী কিংবা শুভেন্দুর কেন নয়? শহিদ মিনার থেকে প্রশ্ন করলেন অভিষেক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলে, প্রধানমন্ত্রী কিংবা শুভেন্দুর কেন নয়? শহিদ মিনার থেকে প্রশ্ন করলেন অভিষেক ,মোদী পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে যদি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কেন জেল হবে না? কেনইবা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীরও পদ খারিজ হবে না? রাহুলকে নিয়ে সুরাট আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে বিজেপি কথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন অভিষেক। আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। শহিদ মিনারের সভামঞ্চ থেকে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “মোদী পদবীর লোকেরা চোর বলে যে সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী যখন নির্বাচনের প্রচারে এসে বলেছিলেন, ‘দিদি ও দিদি…’ তাঁর প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না? মহিলাদের সম্মানে যিনি আঘাত করেছেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদ খারিজ হবে না কেন?”

 

 

 

 

 

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই উঠে আসে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নাম। শুভেন্দুর অধিকারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানে বীরবাহা হাঁসদাদের এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, এঁরা আমার জুতার তলে থাকে। তাহলে বিরোধী দলনেতার দু’বছরের জেল হবে না কেন?” অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, আইন কেন সবার জন্য এক নয়?

 

 

 

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কেন্দ্রের সমীকরণ বলছে, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের হাত মেলানোর এখনও সে অর্থে কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্তত সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতে তা খানিকটা স্পষ্টও হয়েছে। কিন্তু বাংলায় রাহুলের ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জোরাল প্রশ্ন তুললেন অভিষেক।

 

 

আরও পড়ুন –  এসএসসিকাণ্ডে দিলীপকে নিশানা অভিষেকের! ‘দুর্নীতি হলে শাস্তি হোক, কিন্তু বাছবিচার কেন?’

 

রাহুলের সাংসদ খারিজ নিয়ে এর আগে নাম না করে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এদিনও সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তদুপরি প্রধানমন্ত্রীকেও একই দোষে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে তিনি সরাসরি সমর্থন করেননি। সেটাও স্পষ্ট হয়েছে তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ” কী বলেছিলেন তিনি? নীরব মোদী, ললিত মোদী, নরেন্দ্র মোদী…। তাঁর এই মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি না। আমি কারও ভাবাবেগে আঘাতও করতে চাই না। কিন্তু গোটা বাংলার কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই, নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী যে ব্যঙ্গাত্মকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘দিদি, ও দিদি’ বলেছিলেন, তাতে মহিলাদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়নি? এর জন্য তাঁর পদ খারিজ হবে না কেন?”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top