কর্নাটক জয়ের কৃতিত্ব রাহুলকে দিতে নারাজ অভিষেক?

কর্নাটক জয়ের কৃতিত্ব রাহুলকে দিতে নারাজ অভিষেক?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কর্নাটক জয়ের কৃতিত্ব রাহুলকে দিতে নারাজ অভিষেক? পদ্মের হাতছাড়া কর্নাটক। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে কংগ্রেস। হাতের জয়জয়কারের এমন দিনেও তাদের কৃতিত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ১০ হাজার রাহুল, ১০ হাজার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামলেও কিছু হবে না। যখন মানুষ ঠিক করবেন মোদীকে ভোট দেবে না, তখনই আসবেন পরিবর্তন।

 

 

 

 

 

বিজেপির হারের কারণ বিশ্লেষণে অভিষেকের মুখে ফের উঠে আসে বাংলায় তৃণমূলের বিজয়ের কথা। কংগ্রেসের জনপ্রিয়তাকে সিকিভাগও গুরুত্ব না দিয়ে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি যে বাংলা যে পথ দেখিয়েছিল কর্নাটকের মানুষ তা অনুসরণ করেছে। ধর্মের রাজনীতিকে বাংলাই প্রথম প্রত্যাখান করেছে এখন ভারতের মানুষও তা বুঝছে। কোনও ধর্মের সুড়সুড়ি, বিচ্ছিন্নবাদের রাজনীতি, মানুষ কী পরবে মানুষ কী খাবে, লাভ জেহাদ এগুলো রাজনীতি হতে পারে না। রাস্তা, শিক্ষা, মানুষের উন্নয়ন এগুলোর রাজনৈতিক বিষয়। কিন্তু কোনও বিজেপি নেতাদের মুখে এটা শোনা যায় না। এদের পতন শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

 

 

 

একইসঙ্গে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন থিয়োরির সমালোচনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ”ডবল ইঞ্জিন সরকারের ভাঁওতা সবাই বুঝতে পারছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরে, তাহলে সেখানে আগুন জ্বলছে কেন?”এমন জয়ের দিনেও কংগ্রেসকে গুরুত্ব না দিয়ে উলটে অধীর চৌধুরীর সমালোচনা শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, ”নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের কথা না ভাবতে পারলে তাঁর রাজনীতিতে থাকা উচিতই না। আমরা জানতাম, কর্নাটকে বিজেপির সবথেকে বড় বিরোধী কংগ্রেস, তাই আমরা সাধারম মানুষের কাছে কংগ্রেসকে সমর্থন করার আপিল করেছিলাম। এবার একই জিনিস যদি অধীর চৌধুরী বুঝতে না পারেন, তিনি যদি লাগাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে চলেন তাহলে বুঝে নিতে হবে তিনি বিজেপির হাত শক্ত করছেন। এটা মানুষই বলছেন। যদি কেউ বিজেপির লাভ করতে চান, তাই তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন বলতে হবে।”

 

 

 

আরও পড়ুন-  ফিরহাদের ইঙ্গিতে চাঞ্চল্য,পুর নিয়োগে দুর্নীতি কি কবুল করে নিলেন ফিরহাদ?

 

 

 

 

কর্নাটকে কংগ্রেসের দুরন্ত জয় অর্থাৎ বিজেপির হার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ”বাংলার মানুষ ২০২১ সালে যা করে দেখিয়েছিল কর্নাটকের মানুষ ২০২৩ সালে তা করল। বাকিটা ২০২৪-এ করে দেখাবে ভারত। বাংলায় যে ক্যাম্পেন চলেছিল No Vote to BJP তা নিজের খেলা দেখিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন আপনার যে রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে ইচ্ছে হয় দেবেন কিন্তু বিজেপিকে নয়। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করা শুরু করেছে ।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top