হারানো জমি পুনরুদ্ধারে আলিপুরদুয়ারে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়,

হারানো জমি পুনরুদ্ধারে আলিপুরদুয়ারে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের ১ নম্বর ব্লকের বাবুরহাট মাঠে অভিষেকের সভা রয়েছে তাঁর। একুশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের যে জেলায় সবচেয়ে খারাপ ফল করেছিল তৃণমূল। এই জেলার ৫ বিধানসভা আসনেই পর্যুদস্ত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আর একটিও আসন হাতছাড়া করতে চায় না শাসকদল। তাই ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচির আড়ালে আদতে আলিপুরদুয়ারের হারানো জমি পুনরুদ্ধারেই যাচ্ছেন অভিষেক। সূত্রের খবর, দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা চৌপথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব স্বাগত জানাবে।

 

 

 

 

চৌপথি থেকে বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের ময়দানে জনসভা করবেন অভিষেক। এরপর কুমারগ্রাম দুয়ার ব্লকের শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে ফের আলিপুরদুয়ারের নবীন ক্লাবের ময়দানে জনসভা রয়েছে তাঁর। স্বাভাবিক ভাবেই সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের এই নব জোয়ারের উচ্ছ্বাসে তৃণমূল শিবির। যদিও অভিষেকের সফরকে কটাক্ষ করেছেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।

 

 

 

বিজেপি বিধায়ক বলেন, “যা হচ্ছে, তাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে। বড় বড় টেন্ট লাগানো হয়েছে। আমরা এরকম কোনওদিন দেখিনি। যেন রাজপুত্র শিকারে গিয়েছেন।” এলাকার দীর্ঘদিন ধরেই বালিপাথর পাচার নিয়ে সরব এলাকাবাসী। তাতে বিজেপি বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন? হারানো ময়দানে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কী বার্তা দেন, সেটাই দেখতে চায় রাজনৈতিক মহল।

 

 

 

 

আরও পড়ুন –   হুজুর জামিন দিন, কন্যা গ্রেফতার হওয়ার পর দিনই আদালতে জামিনের জন্য কাকুতিমিনতি…

 

 

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল অনুযায়ী এই জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৬৬টি। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল ৪৩টি। বিজেপি-র দখলে ছিল ৯টি আসন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের গরিষ্ঠ অংশ, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছু আসন হারায় তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মারাত্মক ধস। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপর চব্বিশের ভোট। অভিষেক আদতে চাইছেন, সেখান থেকে ‘যোগ্য’ প্রার্থীকে দাঁড় করাতে। যাতে মানুষের সমর্থন পেতে পারেন তিনি। অন্তত তেমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।